আজ খবর ডেস্ক:
বাংলার ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপূজো (Laxmi Puja 2022) শুরু হয়ে গিয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই কানে আসছে শঙ্খ ধ্বনি আর উলুর আওয়াজ।
বাঙালির কাছে লক্ষ্মী আসলে ঘরের মেয়ে। তাই ঘরোয়া উপাচারেই সাজিয়ে দেওয়া হয় মেয়ের সামনে ভোগের থালা।
লক্ষ্মীপুজোকে ঘিরে ঘরে ঘরে মিষ্টি তৈরি, নানারকম নিরামিষ ও সুস্বাদু খাবার তৈরির প্রচলন রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে।

যদিও এই তিথিতে লক্ষ্মীপূজো করেন মূলত ওপার বাংলা থেকে আসা বাঙালিরা অর্থাৎ বাঙালরা। তবে এও ঠিক যে, লক্ষ্মীপুজো মানেই নারকেল নাড়ু, মোয়া, কদমা, মুড়ির মোয়া, ক্ষীরের নৈবেদ্য। ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়।
পুজোর সব মিষ্টিই এখন মিষ্টির দোকানে প্যাকেট আকারে বিক্রি হয। তবে, কষ্ট করে হলেও বাড়িতে মোয়া, নাড়ু, তক্তি বানানোর প্রথা বাঁচিয়ে রেখেছেন অনেকেই।

বাহারি স্বাদের মিষ্টি এই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ। দশমীর (Bijoya Dashami) মাত্র কয়েকদিন পরেই যেহেতু লক্ষ্মীপূজো, তাই অনেকে আবার দোকান থেকেও কিনে আনছেন নতুন ধরণের মিষ্টি। যার মধ্যে নজর কেড়েছে চন্দনী ক্ষীর, দিলখুশ পারিজাত, মালাই রোল, সরপুরিয়া, নারকেলের চন্দ্রপুলি, বাটার স্কচ, স্ট্রবেরি, পাইন্যাপেল, চকোলেট সন্দেশ।
বাঙালি বাড়িতে যে কোনও পুজোতেই ফল, মিষ্টি, খিচুড়ি, পাঁচমেশালি তরকারি, লুচি, পাঁচ রকম ভাজা, পায়েস ভোগ হিসাবে দেওয়ার চল আছে। কিন্তু লক্ষ্মীপুজোয় এই সব ভোগ ছাড়াও নারকেলের বিভিন্ন মিষ্টি রাখতে হয়। দোকানে সব কিনতে পাওয়া গেলেও, অনেকেই নারকেলের বিভিন্ন মিষ্টি নিজে হাতে বাড়িতেই তৈরি করেন।

বলতে পারেন শেষ মুহূর্তের সাজেশন। তবে যেহেতু লক্ষ্মীপূজোর তিথি মধ্যরাত পর্যন্ত রয়েছে, তাই চাইলে ঝটপট বানিয়ে ফেলতে পারেন নিচে দেওয়া যে কোনও একটি পদ। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো নারকেলের তৈরি মিষ্টি ঠিক যেন জমে না।

১) নারকেলের নাড়ু (Narkel Naru):

লক্ষ্মীপুজোর প্রসাদের প্রধান উপকরণ হল নাড়ু। সময়ের অভাবে নারকেল কোড়ানো, পাক দেওয়া এখন অনেকের কাছেই সমস্যা। অগত্যা দোকান থেকে নাড়ু কিনে আনা। কিন্তু বাড়িতে তৈরি নাড়ুর গন্ধ, স্বাদের কোনও তুলনাই হয় না। নারকেল কুরে, তাতে চিনি বা ঘন গুড়ের পাক দিয়ে গোল গোল করে বলের আকারে গড়ে নিন। পাকের সময় একটু গুঁড়ো দুধ ঢেলে দিলে, স্বাদ আরও বাড়বে।

২) নারকেল ছাপ সন্দেশ:

মিহি করে নারকেল কুড়িয়ে অথবা শিলনোড়ায় বেটে নিতে হবে। তার সঙ্গে চিনি এবং ক্ষীর মিশিয়ে হালকা পাক দিয়ে, সামান্য ছোট এলাচ গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে রাখুন। অল্প গরম থাকতে থাকতেই সন্দেশের ছাপ তোলা কাঠের বা পাথরের ছাঁচে দিয়ে তৈরি করে নিন নারকেল ছাপ সন্দেশ।

৩) চন্দ্রপুলি:

নারকেল ছাপ সন্দেশের উপকরণ দিয়েই তৈরি হয় চন্দ্রপুলি। তবে দেখতে হয় অর্ধেক চাঁদের মত। আর হাল্কা আঁচে পাক দেওয়ার সময় একটু বেশি পরিমাণে দুধ বা খোয়া ক্ষীর দিতে হবে।

৪) নারকেলের তক্তি:

গুড় দেওয়া নারকেল নাড়ুর যে মিশ্রণ বানিয়েছিলেন, সেটিই একটু কড়া করে পাক দিয়ে নিতে হবে। ঠান্ডা হলে থালায় অল্প ঘি বা সাদা তেল বুলিয়ে তার ওপর ঢালতে হবে। ওপরটা হাত দিয়ে সমতল করে, ছুরি দিয়ে বরফির আকারে কেটে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে নারকেলের তক্তি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *