আজ খবর ডেস্ক:
প্রতি বছরের মত এবারও বাড়ির কালীপুজো (Kali Puja 2022) নিয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আয়োজনে হাত লাগিয়েছেন দুপুর থেকেই। এবারও বাড়ির পুজোয় ভোগ রান্না করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ইতিমধ্যেই সেই ছবি ভাইরাল (Viral)।
এদিন বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা যায় খুন্তি হাতে রান্নাঘরে। এক হাতে সাঁড়াশি দিয়ে কড়াই চেপে অন্য হাতে খুন্তি নিয়ে ভোগের খিচুরি (Khichuri) রাঁধছেন মমতা। এরপরে লুচি ভাজতেও দেখা যায় তাঁকে।

পূজোর কাজ সামলানোর থাকেই সাংবাদিক বৈঠক করে যে সব এলাকায় আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপ সেখানে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোনোর জন্য রাজ্যবাসীকে সতর্ক করেন তিনি।
একই সঙ্গে তিনি আবেদন করেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সকলে যেন আশ্রয়শিবিরেই (Cyclone Shelter) থাকেন। ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, বাড়ির পুজোর আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও তিনি নিয়মিত দুর্যোগ পরিস্থিতির খোঁজ খবর রাখছেন। বার বার ফোন করে খবর নিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছ থেকে।


মমতা বলেন, ‘‘সকলে কালীপুজো ও দীপাবলির আনন্দ করুন। কিন্তু খুব দরকার না পড়লে বাড়িতে থাকাই ভাল। কারণ, কখন কী হয় সবটা বলা যায় না।’’

মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালী পুজো

গত দু’বছর কোভিড আবহে ভিড় কিঞ্চিৎ কম ছিল মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে। সেই তুলনায় এবছর অতিথির সংখ্যা বেশি। এদিন সন্ধে নামতেই মমতার বাড়ির কালীপুজো দেখতে সস্ত্রীকে রাজ্যপাল লা গণেশন (La Ganesan) আসেন।


প্রথমে তাঁদের যেখানে পুজো হচ্ছে, সেখানে নিয়ে যান মমতা। তারপর নিজের বাড়ি ঘুরিয়ে দেখান। রান্নাঘর থেকে স্টাডি, সবটাই রাজ্যপালকে ঘুরিয়ে দেখান মমতা। দু’জনে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন।


সোমবার সন্ধে থেকেই মমতার বাড়িতে রয়েছেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সাংসদ শান্তনু সেন, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব গৌতম স্যান্যাল, শিল্পী শুভাপ্রসন্ন প্রমুখ। আসবেন চেতলা নবনীড়ের আবাসিকরাও।
বস্তুত রাত যত বাড়ে, এই দিনে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অতিথি সমাগমও ততই বাড়তে থাকে।

প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই আমেরিকা থেকে চোখের চিকিৎসা করিয়ে ফিরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অন্যান্যবার তিনি পুজোর সংকল্প করেন। সূত্রের খবর, একটু রাত করে মমতার বাড়িতে যেতে পারেন অভিষেক। কারণ চিকিৎসকদের বেশ কিছু নির্দেশিকা রয়েছে। বিশেষত আগামী কয়েক দিন ধুলো এবং আগুনের তাপ থেকে বাঁ চোখকে বাঁচিয়ে চলতে হবে, এমনটাই নির্দেশ রয়েছে চিকিৎসকদের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *