আজ খবর ডেস্ক:
মুম্বাই পুলিশের (Mumbai Police) কাছে শেষ লোকেশন টাওয়ার (Location Tower) দুর্গাপুর (Durgapur)। শেষ সূত্র বলতেও এটুকুই। প্রায় ১মাস আগে দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারের ভিরিঙ্গি কালীবাড়ি এলাকায় ছিলেন মা ও মেয়ে (Mother and Daughter Missing Case)। এরপর নিখোঁজ মা ও মেয়ের পরিচিত এক ব্যক্তি দুর্গাপুরে এসে কথা বলেন দুর্গাপুরের এসিপি তথাগত পাণ্ডের সঙ্গে। প্রসঙ্গত এই ব্যক্তি প্রথম পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি (Missing Diary) করেছিলেন।
প্রায় এক মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন মা, মেয়ে। ঘটনার তদন্তে নেমে মুম্বাই পুলিশের আধিকারিকরা দুর্গাপুরে এসে পৌঁছেছেন। দুর্গাপুরে এসেছেন তাদের আত্মীয়রাও। বাঁকুড়া, দুর্গাপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে তল্লাশি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়নি দুজনের। যা স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় ফেলেছে মুম্বাই পুলিশ, জেলা পুলিশ এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের।

৩৫ বছর পরে দেশের বাড়ি বাঁকুড়ায় দুর্গাপুজো দেখতে এসে রহস্যজনকভাবে নিঁখোজ মা ও মেয়ে। দুর্গাপুর স্টেশনে নামার কথা ছিল মা মিনু দেবী ও তাঁর মেয়ে বিজয়লক্ষ্মীর। মুম্বইয়ে আত্মীয় ভবেশ কুমারের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন বিজয়ীলক্ষ্মী। ভবেশ কুমারের দাবি, গত ১৫ সেপ্টেম্বর শেষবার বিজয়লক্ষ্মীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল তাঁর। তখন বিজয়লক্ষ্মী বলেছিলেন, দুর্গাপুর স্টেশনে তাঁরা নামবেন। কিন্তু তারপর থেকে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


রহস্যজনকভাবে নিঁখোজ হওয়ার এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে দুর্গাপুর পুলিশ (Durgapur Police) ও ৷ প্রসঙ্গত ভবেশ কুমারই প্রথম মুম্বাই পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, মুম্বই বণিকসভার সঙ্গেও যুক্ত। তিনি বাঁকুড়াতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু যে গ্রামে মিনু দেবী ও বিজয়লক্ষ্মীর যাওয়ার কথা ছিল, সেখানে তাঁরা যাননি বলেও জানান তাঁদের আত্মীয়রা।

এরপর ভবেশ যোগাযোগ করেন বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার-সহ খাতড়ার বিডিওর সঙ্গে । নিখোঁজ ওই দু’জনের নাম – মিনু দেবী (৭০) ও তাঁর মেয়ে বিজয়লক্ষ্মী (৪০)। গত ১৪ই সেপ্টেম্বর মুম্বই (Mumbai) থেকে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা ৷ গন্তব্য ছিল বাঁকুড়া জেলার খাতড়ার কাছে কালাপাহাড় গ্রাম৷ সেখানেই তাঁদের আদি বাড়ি ৷

গত একমাস ধরে তাঁদের কোনও সন্ধান মিলছে না।
পুলিশের কাছে সব থেকে সমস্যার বিষয় হল, মা ও মেয়ের এই নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের কাছে হাতিয়ার একমাত্র তাঁদের কল লিস্ট। সেই কল লিস্টে ভবেশ কুমারকেই বেশ কয়েকবার ফোন করা ছাড়া আরও একটি ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে । ওই নম্বরটি কার? সেদিকেই এখন পুলিশের মূল তদন্ত ধাবিত হচ্ছে।


গ্রামের বাড়িতে এসে জলজ্যান্ত দু’জন মানুষের আচমকা এভাবে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় রীতিমত রহস্য ঘনাচ্ছে। তাঁরা কি অপহৃত? নাকি স্বেচ্ছায় নিখোঁজ? ইতিমধ্যেই একমাস পার হয়ে গিয়েছে। ফলে তদন্তকারী পুলিশের একাংশ মা ও মেয়ের জীবিত থাকার বিষয়টি নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *