আজ খবর ডেস্ক:
বিভিন্ন প্রয়োজনে অনেকেই অনলাইন হোটেল বুকিংয়ের (Online Hotel Booking) দ্বারস্থ হন। একটু প্রাইভেসির জন্য অথবা নিছক বেড়াতে গিয়ে হোটেলে ঘর বুক করা হয়। এখন যে কোনও হোটেলে ঘর বুক করার জন্য সচিত্র পরিচয় পত্র জমা নেওয়া হয়। হতে পারে আধার কার্ড অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট।
কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জুলুমবাজির অভিযোগ ওঠে।


ঠিক যেমনটা হল দিল্লির অদূরে, নয়ডায় (Noida)।
OYO হোটেল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ। এবার OYO-র ব্যবসায়িক মডেল (OYO Business Model) নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দম্পতিদের ব্ল্যাকমেল (Blackmailing Couples) করার জন্য OYOর সঙ্গে যুক্ত একটি হোটেলে সম্প্রতি গোপন ক্যামেরা লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। দিল্লির গৌতম বুদ্ধ নগর পুলিশ (Gautam Buddha Nagar PS, Delhi) ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এই ঘটনায়।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা অবৈধ কল সেন্টারও (Illegal Call Centre) চালাত।

তবে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও, OYO সংস্থার তরফে এই বিষয়ে অফিসিয়াল কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত চালাচ্ছে সংস্থা।
এডিসিপি (Central Noida) সাদ মিয়া খান জানান, “আমরা তথ্য পেয়েছি যে একজন ব্যক্তি সম্প্রতি তাঁর মহিলা বন্ধুর সঙ্গে একটি ঘরে ছিলেন এবং কিছু দিন পরে, তাঁদের ব্যক্তিগত মুহুর্তের একটি ভিডিও অর্থের দাবি সহ তাকে পাঠানো হয়েছিল।”

সাদ মিয়া খান

নয়ডার ফেজ ৩ থানায় IPC ধারা 420 (প্রতারণা) 386 (মৃত্যুর ভয়/গুরুতর আঘাতের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি) এবং 506 (অপরাধের ভয় দেখানো) র অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে ১১টি ল্যাপটপ, ৭টি সিপিইউ, ২১টি মোবাইল, ২২টি এটিএম কার্ডের পাশাপাশি অন্যান্য ইলেকট্রনিক সামগ্রীও বাজেয়াপ্ত করেছে।

তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্তরা কয়েকদিন আগে একই রুম বুক করে ক্যামেরা বসিয়েছিল। যখনই কোনও দম্পতিকে ক্যামেরায় দেখা যেত, তাঁরা তাঁদের প্রোফাইল হ্যাক করত এবং তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ফোনে অন্তরঙ্গ (Private Moments) ভিডিও পাঠাত।
OYO কোনও অফিসিয়াল মন্তব্য না করলেও কোম্পানির সূত্রগুলি স্পষ্ট করেছে, হোটেলগুলি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত নয়। শুধুমাত্র OYO প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত।
পুলিশ অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছে। তাঁদের নাম বিষ্ণু সিং, আব্দুল ওয়াহাব, পঙ্কজ কুমার এবং অনুরাগ কুমার।
পুলিশের মতে, প্রধান অভিযুক্ত বিষ্ণু সিং এবং আব্দুল ওয়াহাবের মোডাস অপারেন্ডি (Modus Operandi) ছিল হোটেলে রুম বুক করা এবং দম্পতিদের রেকর্ড করার জন্য ক্যামেরা লাগানো। যদি তারা অর্থ প্রদান না করে তবে ভিডিওগুলি ছোলা বাজারে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হতো। সূত্র জানায়, ক্যামেরাগুলো এমনভাবে লাগানো হয়েছিল যাতে হোটেলের হাউসকিপিং কর্মীদের নজরে না পড়ে।

প্রতীকী ছবি

বস্তুত, গোপন ক্যামেরা ব্যবহার করে গেস্টদের প্রাইভেট মুহূর্তের ভিডিয়ো রেকর্ড করার অভিযোগ OYO – তে বুকিং করা হোটেলের বিরুদ্ধে নতুন না।
Noidaর দম্পতির দাবি, তাঁরা OYO-র মাধ্যমেই এই হোটেল বুক করছিলেন।
বারেবারে এই ধরনের গুচ্ছের অভিযোগ উঠলেও OYO এই হোটেলগুলি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলেই অভিযোগ। ফলে অনেকেই OYO-র ব্যবসায়িক মডেল নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে, সিকিউরিটি সম্পর্কে বিন্দুমাত্র খোঁজ না নিয়ে কী ভাবে OYO এই হোটেলগুলিকে নিজেদের তালিকায় আনছে?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *