আজ খবর ডেস্ক:
প্রেসিডেন্সি (Presidency) এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) বাদে এই রাজ্যে শেষ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৭ সালে। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে। জয়ী হয়েছিল SFI।
২০২০ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কলাবিভাগে (Arts Faculty) জয়ী হয়েছিল SFI। তাই রাজ্যের সর্বত্র ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য অবিলম্বে নতুন করে নির্বাচন প্রয়োজন। এই দাবিতে ডেপুটেশনে দিয়েছেন প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীরা।

তাঁদের অভিযোগ, জোর করে ইউনিয়ন ধরে রাখছে রাজ্যের শাসক দলের ছাত্র সংগঠন (TMCP)।
তাই জোর করে ইউনিয়ন ধরে রাখা নয়, বরং নতুন করে নির্বাচন চাইছে SFI। চলতি সপ্তাহের বুধবার একটি বিক্ষোভে সামিল হয় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই শাখা। অবিলম্বে ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে নতুন ‘সিআর কাউন্সিল’ (CR Council) গঠনের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করছে SFI।

বস্তুত, গত পাঁচ বছর ধরে সামগ্রিক ভাবে হয়নি ছাত্র সংসদ নির্বাচন। ২০১৭ সালে শেষবার রাজ্য জুড়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। তারপর ২০১৯-২০ সালে রাজ্যের মাত্র চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভাবে নির্বাচন হয়।
তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ছাত্র ইউনিয়ন তুলে দিয়ে কাউন্সিল নিয়ে এসেছে । যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক দানা বাঁধে শিক্ষামহলে। ইউনিয়ন ফেরানোর দাবিতে আন্দোলনে সামিল হয় প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।


ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ছাত্র আন্দোলনের চাপে ২০১৯-২০ সালে রাজ্যের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজেদের দায়িত্বে নির্বাচন আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী ও ডায়ামন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত হয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
তবে রাজ্যের অন্যান্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ২০১৭ সালের পর আর ভোট হয় নি। ফলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছে বাম ছাত্র সংগঠন।

বিষয়টি নিয়ে SFI-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সহ সম্পাদক শুভজিৎ সরকার বলেন, “প্রেসিডেন্সির বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের অধিকাংশকে নিজেদের ইউনিয়ন বেছে নেওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার দিতে হবে। সমস্ত ক্লাসের সঠিক, গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্বের স্বার্থে নতুন CR কাউন্সিল গঠনের স্বার্থে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রয়োজন।কোভিডের (Covid 19) দোহাই দিয়ে গত তিন বছর প্রেসিডেন্সিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক। কেবলমাত্র প্রেসিডেন্সিই নয় রাজ্যের সর্বত্র ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া জরুরি।”


SFI এর বক্তব্য যদি বিধানসভা, পৌরসভার উপনির্বাচন হতে পারে তাহলে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ থাকবে কেন?
অনৈতিক ভাবে তৃণমূল ইউনিয়ন বসে আছে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। সিপিআইএম (CPIM) ছাত্র সংগঠনের হুমকি, রাজ্য সরকার যদি ভেবে থাকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে নির্বাচন করবনা তাহলে রাস্তার লড়াইয়ের পাশাপাশি আইনি লড়াইয়ের দিকেও যাওয়া হবে যাতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *