আজ খবর ডেস্ক:
তাঁদের দুজনের সম্পর্ক “মধুর”, এমন দাবি কেউ কখনও করে না। অথচ, দুজনেই তৃণমূলের (TMC) প্রথম সারির নেতা, দুজনের রাজনীতি ও বীরভূম জেলাতেই। তাই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে তাঁর সাক্ষী হওয়া নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
সোমবার সকালেই প্রকাশ্যে এসেছে খবর। গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নামে সিবিআইয়ের চার্জশিটে (CBI Chargesheet) সাক্ষী হিসাবে নাম রয়েছে বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Shatabdi Roy)। শতাব্দীর পাশাপাশি সাক্ষী হিসাবে বোলপুরের এক নির্দিষ্ট সরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার ও কর্মীদের নামও রয়েছে। জানা গিয়েছে অনুব্রতর বাড়িতে সিবিআই হানার সময় ওই ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল টাকা উদ্ধার হলে গণনার জন্য।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার আসানসোল আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের নামে ৩৫ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই।
ওই চার্জশিটেই সাক্ষী হিসাবে মোট ৯৫ জনের নাম রয়েছে। যার মধ্যে ৪৬ নম্বরে রয়েছে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দীর নাম। সিবিআই সূত্রে খবর, এই মর্মে ১৬০ নম্বর ধারায় নোটিস পাঠানো হয়েছিল শতাব্দীকে। পরে তৃণমূল সাংসদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। তার পরই চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে শতাব্দীর নাম রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যার অর্থ হল, প্রয়োজনে আদালত ডাকলে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে সরকারি সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেবেন তৃণমূলের এই সাংসদ।
যদিও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলে নি শতাব্দীর থেকে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সূত্রে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এর আগে সারদা মামলার তদন্ত চলার সময় “সারদা” ব্র্যান্ডের (Saradha Scam) পানীয় জলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সংস্থার থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শতাব্দীর নামে। এমনকী, সারদার এক প্রথম সারির কর্তার সঙ্গে শতাব্দী রায়ের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের বিষয় তদন্তকারীদের সামনে এসেছিল।
শতাব্দী রায়ের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সম্পর্কের বিষয়ে তৃণমূলের অনেকেই অবহিত। নিজের সংসদীয় কেন্দ্রে তাঁকে ঠিক মত কাজ করতে দিচ্ছেন না অনুব্রত, এমন অভিযোগ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অতীতে একাধিক বার করেছিলেন এই অভিনেত্রী সাংসদ। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে শতাব্দীর একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা ছড়ায় যে তিনি তৃণমূল ত্যাগ করছেন। যদিও পড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি মিটিয়ে নেন শতাব্দী।
তাই সিবিআইয়ের চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে শতাব্দীর নাম ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অনুব্রতের নামে দেওয়া চার্জশিটে ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে ৫৩ টি সম্পত্তির দলিলের।