আজ খবর ডেস্ক:
দীপাবলি। অর্থাৎ আলোর উৎসব। ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Sitrang) উপেক্ষা করেই মাতোয়ারা রাজ্য। অথচ পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরির দাবিতে টেট (TET) উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ অব্যাহত। ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে ধরনা চলছে এখনও।
এদিন কালী সেজে ধর্নায় সামিল হলেন আন্দোলনকারীরা। দেবীর কাছে তাঁদের আর্জি, “আমাদের প্রতি যে মানবরূপী দানবগুলি অত্যাচার করছে, তাঁদের নিধন করতে আর একবার ধরণীর বুকে এস’!
কালীপুজোর দুপুরে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করলেন সিপিএমের (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md. Salim)।
ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে উচ্চ প্রাথমিক টেট চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না এদিন ১২৫ দিনে পড়ল। রিলে অনশন চলছে ৭০ দিন ধরে। এর পাশেই রাজ্য সরকারের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নামঞ্চ। এদিন তাঁরা নাটকের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতি ও চাকরি-বঞ্চনার প্রতিবাদ জানালেন।
ইডি (ED) হেফাজতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর, তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন প্রায় ৫৮ হাজার পদে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে! তল্লাশির সময় তাঁর বাড়িতে মিলেছিল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি। তদন্তকারীদের দাবি, ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ৪৪ জনের কাছ থেকে চাকরির জন্য মাথাপিছু ৭ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।
যাঁরা ধর্নায় আছেন, তাঁরা সকলেই ২০১৪ সালের টেট পাস। কালীপুজোতেও ছেদ পড়েনি আন্দোলনে। এদিন কালী সেজে অভিনব কায়দায় নিয়োগের দাবি জানালেন তাঁরা। এর আগে, কোজাগরি লক্ষ্মী পুজোর দিন লক্ষ্মী সেজে ধর্নামঞ্চে বসেছিলেন তাঁরা। এদিন আন্দোলস্থলে এসে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। টেট উত্তীর্ণরা ছাড়াও আপার প্রাইমারির আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বললেন।
সেলিমের সঙ্গে ছিলেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ এবং চাকরিজীবী আন্দোলনের নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ।