আজ খবর ডেস্ক:
Bjp Bengal Bengal বিধানসভা (West Bengal Assembly) থেকে ওয়াকআউট (Walkout) বিজেপির।
অখিল গিরির (Akhil Giri) পদত্যাগ দাবি করে বিজেপি। সোমবার এই নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভা। অধিবেশনের শুরুতেই অখিল গিরির অপসারণ দাবি করে মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেয় বিজেপি (BJP)। সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে অধিবেশন কক্ষ।

বাইরে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরির অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়ে যাবেন বলে জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এরপরই বিধানসভা মুলতুবি করে দেন স্পিকার।

প্রসঙ্গত, এদিন অধিবেশনের শুরুতেই মুলতুবি প্রস্তাব (Adjournment Motion) এনেছিল গেরুয়া শিবির। সেই মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ হতেই বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।


রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) নিয়ে আপত্তি জনক মন্তব্য করায় তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি তোলেন বিজেপি বিধায়করা। পাল্টা বীরবাহা হাঁসদাকে (Birbaha Hansda) নিয়ে কুকথা বলায় পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা।
সোমবার আদিবাসীদের পাঞ্চি উত্তরীয় পরে এবং দ্রৌপদী মুর্মুর স্টিকার জামায় সেঁটে বিধানসভা কক্ষে প্রবেশ করেন বিজেপি বিধায়করা। সেখানে পৌঁছেই তাঁরা বিধানসভায় মুলতবি প্রস্তাব জমা দেন। পাশাপাশি মন্ত্রী অখিলকে পদ থেকে অপসারণের দাবিতেও সোচ্চার হন।

Bjp Bengal বেলা ১২টা নাগাদ বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার কক্ষে চিৎকার করে স্লোগান দিতে শুরু করেন। তৃণমূলের মহিলা বিধায়কদের তরফে বিজেপির এই আচরণের প্রতিবাদ জানানো হয়। হাউসের প্রথমার্ধ শেষের সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে দিতে বাইরে বেড়িয়ে যান।


গত ১১ই নভেম্বর নন্দীগ্রামের একটি সভায় রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কুমন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল কারা প্রতিমন্ত্রী এবং পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির বিরুদ্ধে। শুভেন্দু অধিকারীর একটি বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে অখিল বলেন, ‘‘আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। তোমার রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা?’’ কার্যত দেশজুড়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে দেশের সাংবিধানিক প্রধানকে কী ভাবে অপমান করতে পারেন এক জন বিধায়ক?
এবার সরাসরি রাজ্য বিধানসভার অন্তরেও সেই আঁচ ছড়িয়ে পড়ল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *