আজ খবর ডেস্ক:
বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা বারবার দাবি করছেন, ডিসেম্বরেই তৃণমূল সরকারের পতন নিশ্চিত। এদিকে আদালতের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) এবং কয়লা ও গরু পাচার কান্ডের (Coal and Cattle Smuggling Case) তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
শাসকদলের পাল্টা বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা” চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। তবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন দুর্নীতি ইসুকে যে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, প্রকারান্তরে তা মেনে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
জানা গিয়েছে তদন্তে গতি বাড়ানোর পাশাপাশি এবার কলকাতায় নতুন আর ও একটি দপ্তর খুলছে সিবিআই (CBI)।

Tet news এদিকে শিক্ষক নিয়োগ তদন্তে চাপ বাড়ালো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার দুই শিক্ষকের নিয়োগপত্র দেখতে চাইল সিবিআই। যে কারণে বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পর্ষদ। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যে তদন্ত চলেছে তা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের অধীন। সেই প্রক্রিয়াতেই দু’জনের নিয়োগপত্র চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাই ওই দু’জনকে অবিলম্বে তাদের নিয়োগপত্রের আসল কপি পর্ষদের দপ্তরে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।


ওই বিজ্ঞপ্তিতে দু’জন চাকরিপ্রাপকের নাম ও রোল নম্বর দেওয়া হয়েছে। প্রথম নামটি হল পরিচয় সরকার। দ্বিতীয় নামটি হল ঈশিতা নিয়োগী। পরিচয়ের রোল নম্বর হল ১১৫০০০২৫৩ এবং ঈশিতার রোল নম্বর ১১৫০০৭২০৭। এই দুজনকে জরুরি ভিত্তিতে তাদের নিয়োগপত্রের আসল কপি পর্ষদের জেলা অফিস মারফত জমা করতে বলা হয়েছে।

Tet news আবার তদন্তে গতি বাড়ানোর পাশাপাশি সিবিআই কেন কলকাতায় নতুন দপ্তর খুলছে, তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা চলছে। এখন কলকাতার নিজাম প্যালেসে দু’টি তলা এবং সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে দু’টি তলায় সিবিআইয়ের অফিস রয়েছে। এবার নতুন করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে জাজেস কোর্টে রোডের একটি বাড়ি। সিজিও কমপ্লেক্সে নিজস্ব গারদ রয়েছে সিবিআইয়ের। নিজাম প্যালেসের অফিসে প্রথম থেকেই তিনটি গারদ ছিল।
এবার কলকাতা শহরে লকআপ বাড়ানোর কাজে এগোচ্ছে সিবিআই। তাঁদের দাবি, এমনিতেই মামলার চাপ বাড়ছে। তাছাড়া নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে এটা অত্যন্ত প্রয়োজন।


ইতিমধ্যেই আলিপুরের ২/৫ এ জাজেস কোর্ট রোডের বিএসএনএল (BSNL) এর একটি ১০ তলা বাড়ির বেশিরভাগ অংশ ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সেখানে গারদও বানানো হচ্ছে। নানা দুর্নীতির মামলায় কাউকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এখানে রাখা হবে।

গরু, কয়লা, ভোট–পরবর্তী হিংসা এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। তাই জায়গা বেশি লাগছে।
জাজেস কোর্ট রোডের বাড়িটিতে একসঙ্গে ১৫টি গারদ আপাতত তৈরি করা হবে। এমনকী অতিথিশালা তৈরির পরিকল্পনাও হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *