আজ খবর ডেস্ক:
Mamata Banerjee কালীপুজোর পর নদীয়া (Nadia) দিয়েই জেলা সফর শুরু করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সফরের শেষ দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠক করছেন রানাঘাটে।
এদিকে, পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে নজিরবিহীন ত্রিস্তরীয় সুরক্ষা বলয়ে সভাস্থল সাজানো হয়েছে। মঞ্চের সামনে দায়িত্ব সামলাবে মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব ‘স্পেশাল সিকিউরিটি ইউনিট’। হেলিপ্যাড ও সভামঞ্চের চারিদিকে প্রায় ৫০০ জন কনস্টেবল মোতায়েন থাকবেন। সভাস্থল ৪০টি ও হেলিপ্যাড ৬টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। ওই ক্যামেরার ফুটেজে নজরদারির জন্য রয়েছে পৃথক কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থা। সভা শেষে মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতা ফিরে যাওয়ার জন্য চপারের পাশাপাশি সড়ক পথে যাওয়ার কনভয়ও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আগেও এই মাঠে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক ও নির্বাচনী জনসভা করেছেন। মাঠটি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে হওয়ায় ভারী যান চলাচলের ওপর ও নজরদারি থাকবে।

তবে এত সুক্ষার ব্যবস্থা থাকার পরেও বিজেপির বিক্ষোভ আটকানো গেল না। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই বিজেপির বিক্ষোভে (BJP Protest) উত্তাল হয়ে ওঠে রানাঘাটের সভা চত্বর। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় (CM Administrative Meeting) কেন বিজেপির সাংসদ-বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি? সেই প্রশ্ন তুলে পথে নামেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। মিছিল করে সভাস্থলের দিকে রওনা দিলে এক কিলোমিটার দূরেই পুলিশ তাঁদের থামিয়ে দেয়। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। সেখান থেকেই পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়।

সভাস্থলের ১ কিলোমিটার দূরে রামনগরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরেই রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়-সহ বিজেপির জেলা নেতৃত্বকে আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির সাংসদ-বিধায়করা। বিজেপির দাবি, সরকারি টাকায় প্রশাসনিক সভা হচ্ছে। রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার ৭ জন বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদ থাকলেও, তাঁরা ডাক পাননি।
বিজেপির দাবি, এর জবাব দিতে হবে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে।

এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে ১০০ দিনের কাজ, কেন্দ্রের হাতে আটকে থাকা রাজ্যের বরাদ্দ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন মমতা। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, কর্নাটকের ধাঁচে বাংলাতেও সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়াতে পারে বিজেপি। ফলে সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে।

বস্তুত, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) সহ বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা ডিসেম্বর মাসেই বর্তমান রাজ্য সরকারের পতন হবে এমন একটি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এদিন সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “এখন থেকে সাম্প্রদায়িক এলাকাগুলিকে দেখে রাখুন। কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করছে যে, ডিসেম্বর থেকে ধামাকা, মানে সাম্প্রদায়িক যুদ্ধ লাগাবে। কর্নাটকে ইতিমধ্যেই লাগিয়েছে। এটা বাঁচার পথ নয়। চৈতন্যদেবের জায়গায় দাঁড়িয়ে বলছি, জীবনটা শান্তির পথ। এটা মাথায় রাখতে হবে।”


প্রসঙ্গত, আগামী বছরের শুরুতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে, ইঙ্গিত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। ফলে এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতির ফোকাস পয়েন্ট পঞ্চায়েত ভোট।
তার আগেই বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে যে কাজগুলি বাকি রয়েছে তা যাতে দ্রুত শেষ করা হয় সে বিষয়েও নদীয়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *