আজ খবর ডেস্ক:

আপডেট: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ালো। এখনও ধ্বংসাবশেষ চাপা পড়ে বহু মানুষ। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার সরকার।
Indonesia earthquake রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৫.৬। ভূমিকম্পটি উৎসস্থল ছিল ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভার (Java) পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চিয়ানজুর।
ভূতত্ত্ব জরিপ বিভাগ বলছে, সোমবারের ঐ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল চিয়ানজুরের ১০ কিমি ভূগর্ভে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, নিহতের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আহত শতাধিক।


বস্তুত, সোমবার ইন্দোনেশিয়ার চিয়ানজুর থেকে ১০০ কিমি দূরে রাজধানী জাকার্তায়ও (Jakarta) বেশ জোরেই অনুভূত হয়েছে ভূকম্পন। সেসময় রাজধানীর উঁচু বিল্ডিংগুলো থেকে আতঙ্কে মানুষজন ছুটে বাইরে বেরিয়ে আসেন।

হাহাকার ইন্দোনেশিয়া জুড়ে। দোকান, হাসপাতাল, বোর্ডিং স্কুল সব ভেঙে গিয়েছে। বাড়ি ভেঙে রাস্তার ওপর পড়ে রয়েছে। একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স ঢুকছে হাসপাতালে। আহতদের আর্তনাদ, রক্ত। প্রিয়জনকে হারিয়ে পরিজনদের কান্নায় ভারী হয়ে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বাতাস।


ইন্দোনেশিয়ার জাভাতে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় এদিন। ভূমিকম্পের জেরে ইতিমধ্যেই অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একের পর এক বিল্ডিং ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালেও বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে। চিকিৎসকদের দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে আহতদের চিকিৎসা করছেন।

পশ্চিম জাভার রাজ্যপাল রিদওয়ান কামিল সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, নিজে চোখেই দেখুন কী অবস্থা! চারদিকে শুধুই কান্না। তবে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, আংশিকভাবে বিদ্যুৎ এসেছে। তবে সেটা জেনারেটর নাকি পাওয়ার গ্রিডের মাধ্যমে সেটা পরিষ্কার নয়। Indonesia earthquake


ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিকাল সার্ভের (USGS) মতে পশ্চিম জাভা এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। স্থানীয় সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৭০০মানুষ আহত এই ঘটনায়।


একের পর এক বিল্ডিং ধসে গিয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। বাইকে, ট্রাকে করে আহতদের হাসপাতালে আনা হচ্ছে। রাস্তার পাশে ত্রিপল পেতে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই শুয়ে রয়েছেন একের পর এক আহত মানুষজন। একাধিক রাস্তায় ধস নেমে গিয়েছে। হাজার হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *