আজ খবর ডেস্ক:
Aindrila-Sabyasachi দীর্ঘ লড়াইয়ের পর গত রবিবার মারা গিয়েছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। বস্তুত, ঐন্দ্রিলা অসুস্থ থাকাকালীনই নিজেকে সমাজমাধ্যম (Social Media) থেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলার “কাছের মানুষ” সব্যসাচী (Sabyasachi Chowdhury)।


এদিকে ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর থেকেই সব্যসাচীকে নিয়ে সমাজ মাধ্যমে একের পর এক খবর হচ্ছে। কেউ বলছেন সব্যসাচী শয্যাশায়ী, কেউ আবার প্রশ্ন তুলছেন অভিনেতার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা নিয়ে। Aindrila-Sabyasachi
এসব খবরের আদৌ কোনও সত্যতা আছে কি? আসলে ঠিক কেমন আছেন এই তরুণ অভিনেতা? বান্ধবীর মৃত্যুর পর থেকেই সব্যসাচীর মুখ বন্ধ। এবার প্রিয় বন্ধুর অবস্থান নিয়ে সোচ্চার হলেন আরেক অভিনেতা সৌরভ দাস (Saurav Das)।

সৌরভ মনে করছেন, কিছু নিয়েই মুখ খুলছেন না সব্যসাচী। তাই তাঁকে নিয়ে নানান গুজবে ইন্ধন দেওয়া সহজ হচ্ছে। ঐন্দ্রিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন সৌরভের মাধ্যমেই সব্যসাচীর খবর মিলেছিল।
আর এ বার সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মধ্যরাতে নিজেই ফেসবুক পোস্ট করলেন সৌরভ। নেট দুনিয়া জুড়ে ছড়ানো ভুয়ো খবর বন্ধের আর্জি জানালেন অভিনেতা সৌরভ দাস।


এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে সৌরভ দাস লিখেছেন, “সব্যসাচী সুস্থ আছে। সঙ্গে আছি আমি। এবং থাকবো। যারা ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে, তারা অসুস্থ। বিব্রত হবেন না। গালাগাল দিয়ে পোস্টটা নোংরা করছি না যাতে শেয়ার করে মানুষজনকে জানাতে পারেন সব্যর ব্যাপারে। We will be taking legal actions against any fake news from any portal that comes up. Please let the families be in peace।”

পোস্টের শেষে ছিল সতর্কবার্তা। যদি ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়, সে ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। সৌরভের অনুরোধ, ‘‘দয়া করে পরিবার পরিজনকে শান্তিতে থাকতে দিন।’’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৯ দিন হাসপাতালে মরণপণ লড়াই চালিয়ে গত রবিবার বেলা ১২টা ৫৯ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। রোগশয্যায় অতন্দ্র প্রহরীর মত পাশে ছিলেন সব্যসাচী।

সব্যসাচী সমাজমাধ্যম থেকে ঐন্দ্রিলা সংক্রান্ত সব পোস্ট মুছে বিদায় নেওয়ার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে নানা ধরণের খবর ছড়াতে থাকে।
এর আগেও ভুল খবরের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন সৌরভ। ঐন্দ্রিলা জীবিত থাকার সময়ই রাতারাতি ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর মৃত্যু সংবাদ। তখনও সরব হয়েছিলেন সৌরভ। নিজের ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, “বেঁচে আছে এখনও।মেরে ফেলো না ওকে। পায়ে ধরছি।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *