আজ খবর ডেস্ক:
২০১৪ সালের টেট (TET) উত্তীর্ণ প্রার্থীরা চাকরির দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই শহরের নানান প্রান্তে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন। অভিযোগ, তাঁদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। পুলিশের এই আচরণের প্রতিবাদে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিলেন তাঁরা।
বুধবার মামলা দায়েরের অনুমতি মিলেছিল। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সেই মামলারই শুনানি ছিল বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে। তার পরেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, আপাতত ৪০ দিন চাকরিপ্রার্থীরা ধর্নায় বসতে পারবেন গান্ধীমূর্তির পাদদেশে।
TET আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, মামলাকারীরা রায়ের প্রতিলিপি নিয়ে লালবাজারে যাবেন। সেখানে চাকরিপ্রার্থীরা উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে অবস্থান শুরুর দিন জানাবেন। পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতে পারেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ১৬ই সেপ্টেম্বর থেকে ৫ দিন এই চাকরি প্রার্থীরা গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্না দিতে পারবেন। সেই নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। আদালতের নির্দেশ মেনে ধর্ণার অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা পুলিশও (Kolkata Police)। তবে ৫ দিন পর তাঁদের তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে, চাকরির দাবিতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন টেট এবং এসএসসি (SSC) চাকরিপ্রার্থীরা। এতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে বলে পাল্টা জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হয় হাইকোর্টে।
গত সোমবার রামপ্রসাদ সরকার নামে এক আইনজীবী প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসে মামলা করেন। মামলাকারীর বক্তব্য কখনও গান্ধীমূর্তি, কখনও ক্যামাক স্ট্রিট, কখনও রেড রোডে ধর্ণা চলছে। এভাবে ধর্ণা দিয়ে, অনশন করে চাকরি পাওয়া যায় না। এই আইনজীবির মূল আর্জি ছিল, কলকাতাকে আন্দোলনের ক্ষেত্র বানিয়ে ফেলা হয়েছে। আদালত অবিলম্বে এটা বন্ধ করুক।
সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হলো, পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে আগামী আরও ৪০ দিন ধর্ণায় বসতে পারবেন চাকরি প্রার্থীরা।