আজ খবর ডেস্ক:
Mamata Banerjee-CAA গুজরাটের (Gujarat) দুই জেলায় ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে নির্দেশ জারি হয়েছে। কিন্তু এদিন চেন্নাই (Chennai) যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সিএএ (CAA) নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ‘‘এ সব নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে। এ সব আমরা হতে দেব না৷’’ অর্থাৎ, তিনি আবারও স্পষ্ট করে বলে দিলেন, সিএএ হোক সেটা তিনি চাইছেন না৷
আগেই গুজরাটে নাগরিকত্ব বিষয়ে বিশেষ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়, গুজরাতের দু’টি জেলা আনন্দ এবং মেহসনিতে বাংলাদেশ (Bangladesh), পাকিস্তান (Pakistan) ও আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি, জৈন এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে৷
সামনে গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগে দুই জেলায় নাগরিকত্ব আইন ১৯৯৫ এর আওতায় বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) খাস তালুক বলে পরিচিত এই দুই জেলায় প্রথম বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল।
সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তির সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে। নাগরিকত্ব পেতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আবেদন থেকে শুরু করে প্রদত্ত নথি, শর্তাবলীর সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে হবে। নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছে। রাজ্যের ক্ষেত্রে প্রার্থীর আবেদন পত্র এবং সমস্ত নথি খতিয়ে দেখবেন জেলা শাসক (District Magistrate)। জেলা স্তরে নথি যাচাইয়ের পর সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হবে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট এজেন্সিতে। এর আগে ২০১৬, ২০১৮ এবং ২০২১ সালে গুজরাট, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাব সরকারকে একই বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই ৫ রাজ্যের জেলা প্রশাসনকে বৈধ নথি নিয়ে এদেশে আসা উল্লেখিত ৬ সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব দেওয়ার অধিকার দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে, গুজরাটের মত পশ্চিমবঙ্গেও (West Bengal) দ্রুত লাগু হবে CAA, মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “এই আইন লাগু হলে মতুয়া ও নমঃশূদ্র সমাজকে আর পুরনো দলিলের জন্য হয়রান হতে হবে না। এটা CAA-র অংশ। CAA কার্যকর করা শুরু হয়ে গেল। পশ্চিমবঙ্গ ভারতবর্ষের অংশ। পশ্চিমবঙ্গেও হয়ে যাবে। এতে আর আলোচনার কী আছে?”
প্রসঙ্গত, এই নিয়মে পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া ও নমঃশূদ্র সমাজের প্রতিনিধিরা নাগরিকত্ব পাবেন। এখন তাঁদের বলা হয় ১৯৭১ সালের আগের দলিল আনতে।