আজ খবর ডেস্ক:
হুটার নিয়ে বিতর্ক ছিল অতীতে। পরবর্তী সময়ে যাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় আদালতকে।
এবার কলকাতার ট্রাফিক সিগন্যাল (Traffic Signal of Kolkata) নিয়ন্ত্রণে কড়া নির্দেশ দিল লালবাজার (Lalbazar)।
ওই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে ট্র্যাফিক গার্ডগুলির কাছে। তাতে বলা হয়েছে, শহরের ট্র্যাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ফের সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলুক। তবে প্রয়োজন মনে করলে, অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে তা পুলিশকর্মীদের মাধ্যমে ‘ম্যানুয়াল’ পদ্ধতিতেও চালানো যাবে। সে ক্ষেত্রে ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমকে (Traffic Control Room) তা জানিয়ে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে দিনে কতটা সময় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সিগন্যাল চলছে, তার হিসাব রাখতে হবে। প্রতিদিন সেই রিপোর্ট পাঠাতে হবে ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমকে।

সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশটি রয়েছে এর পরেই। কোন কোন ভিভিআইপির (VVIP) সিগন্যাল সবুজ থাকবে তা নিয়ে মাঝে মধ্যেই ট্রাফিক পুলিশকে সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ, অনেকেই নিজের নিজের প্রভাব খাটাতে চান এই বিষয়ে। যার ফলে অনেক সময় মন্ত্রী থেকে শুরু করে কোনও সাংসদ, বিধায়ক বা মেয়র পারিষদের যাতায়াতের সময় ট্রাফিক সিগন্যাল সবুজ করে থাকে ট্রাফিক পুলিশ (Traffic Police)।


এতে একদিকে যেমন অযথা যানজট তৈরি হয়, অন্যদিকে ভুগতে হয় আম-জনতাকে। সেই সমস্যা দূর করতে শহরের রাস্তায় ভিভিআইপিদের যাতায়াত নিয়ে নয়া পদক্ষেপ করল লালবাজার।
এবার থেকে শুধুমাত্র ১৫ জন ভিভিআইপির যাতায়াতের ক্ষেত্রেই সিগন্যাল সবুজ থাকবে। নয়া তালিকা ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করে ফেলেছে লালবাজার।

লালবাজার সূত্রের খবর, নতুন তালিকায় ১৫ জন ভিভিআইপির মধ্যে রয়েছেন: সাংবিধানিক পদে থাকা ৬ জন ব্যক্তিত্ব, ৪ জন সিনিয়র আমলা, ৪ জন সিনিয়র পুলিশ অফিসার এবং ১ সংসদ। সাংবিধানিক পদাধিকারী ভিভিআইপিদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, রাজ্য বিধানসভার স্পিকার, বিরোধী দলনেতা এবং কলকাতার মেয়র।
Traffic signal সিনিয়র আমলাদের তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব এবং আলাপন বন্দোপাধ্যায়।


পুলিশকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, কলকাতা পুলিশের বিশেষ কমিশনার এবং এডিজি (আইন শৃঙ্খলা)।
সাংসদ হিসাবে সেই তালিকায় রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

লালবাজার সূত্রে বলা হয়েছে, এর ফলে যেমন ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে তেমনি যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। ভিভিআইপিদের তালিকা নির্দিষ্ট থাকলে সে ক্ষেত্রে যানজটে সমস্যা কমে যাবে। কলকাতা পুলিশের তরফেও ট্র্যাফিক পুলিশকে ১৫ জন ভিভিআইপির নতুন তৈরি করা এই তালিকাকে কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *