আজ খবর ডেস্ক:
SLST agitation এসএলএসটি নবম থেকে দ্বাদশের (SLST 9 to 12) নিয়োগের দাবিতে অবস্থান-আন্দোলনের পাশাপাশি প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। যদিও সমাধানসূত্র এখনও অধরা। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি, সমাজের বিভিন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো ছাড়া এখনও প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য। অবস্থান আন্দোলনের ৬০০ তম দিনে নিজেদের দাবি ফের উস্কে দিলেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা।

দিন বদলেছে, বছর শেষ হয়ে নতুন বছর এসেছে। প্রাকৃতিক নিয়মে ঋতু পরিবর্তন হয়েছে। তবে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের দাবি পাল্টায় নি। আন্দোলনের প্রথম দিন থেকে একই দাবিতে অনড় তাঁরা।
১) অবস্থানরত যোগ্য বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে
২) সমস্ত বেআইনি নিয়োগ বাতিল করতে হবে।
এদিন ৬০০ দিন ধরে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে যান বামফ্রন্টের (Left Front) নেতা কর্মীরা।
হাতে প্ল্যাকার্ড, চলছে ‘নিয়োগ চাই, নিয়োগ চাই’ বলে স্লোগানও। রাজ্যের দূরদূরান্ত থেকে বহু চাকরিপ্রার্থী ঘরবাড়ি ছেড়ে দিনের পর দিন গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বসে রয়েছেন।

৬০০ দিন পর করে চাকরিপ্রার্থদের স্পষ্ট বক্তব্য, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। আগামী দিনে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও তীব্র করার ইঙ্গিত দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তার পরিচয় পাওয়া যাবে শনিবারই। রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত মিছিল করার কথা রয়েছে তাঁদের।


প্রতিশ্রুতি অবশ্য অনেক মিলেছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও পরে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) সঙ্গে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের বৈঠক হয়েছে। SLST agitation
বিজয়া দশমীর দিন চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানে পৌঁছে তাঁদের মিষ্টিমুখ করাতে গিয়েছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu)। আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। আন্দোলনের ৬০০ দিনেও সেখানে যান বিমান বসু। সঙ্গে ছিলেন মহম্মদ সেলিম (Md. Salim)।

লক্ষ্মীপুজোর দিন চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নামঞ্চে সপরিবার দেখা গিয়েছিল বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেনকে। তাঁরাও মিষ্টি নিয়ে গিয়েছিলেন আন্দোলকারীদের জন্য। শুক্রবার তাঁদের কাছে যাবেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।

ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির সামনে এক সুবিশাল জমায়েতের ডাক দেয় বামফ্রন্ট। সেখান থেকে মিছিল এগিয়ে চলে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন মঞ্চের দিকে।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সিআইটিইউ নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ সহ অন্যান্য বাম নেতৃত্ব। ‘চোর ধরো, জেল ভরো’, স্লোগান তুলে মিছিল এগিয়ে চলে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে।


এদিন চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নামঞ্চ থেকে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানান, “ভাবি শিক্ষকদের অদৃষ্টের পরিহাস! কিভাবে চাকরি চুরি হয়েছে, কিভাবে টাকার বিনিময়ে যারা পাশ করেনি তাঁদের চাকরিতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখন তো সেসব দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *