আজ খবর ডেস্ক:
State Heritage Commission বিতর্ক চলছিল গত বেশ কয়েকদিন ধরেই। একেবারে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির (Jorasanko Tagore House) ভেতরে ঘর দখল করে চলছিল দলের পার্টি অফিস। অভিযোগের তীর ছিল শাসক দলের দিকে। যা নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলাও (PIL) হয়।
সোমবার এক দিকে আদালতের নির্দেশ এল, দখল করা ঘরের যতটুকু নির্মাণ হয়েছিল তা ভেঙে ফেলতে হবে।
অন্যদিকে রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের (West Bengal State Heritage Commission) চেয়ারম্যান বদল হয়ে গেল রাতারাতি।

রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান করা হল প্রাক্তন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Bandyopadhyay)। নবান্ন ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আলাপন নতুন পদে তাঁর দায়িত্বভার বুঝে নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এতদিন ওই দায়িত্বে ছিলেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন (Shuvaprasanna)। শুভাপ্রসন্ন আদতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
প্রসঙ্গত, ইতিহাসের সংরক্ষণের জন্য রাজ্যে দু’টি সংস্থা কাজ করে। একটি রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। অন্যটি ‘সেন্টার ফর আর্কিওলজিক্যাল স্টাডিজ় অ্যান্ড ট্রেনিং’ (CAST)। হেরিটেজ কমিশনের দায়িত্বে আসার আগে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় CAST এর চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছিলেন। সেই পদে এবার নিয়ে আসা হয়েছে ইতিহাসবিদ এবং প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ সুগত বসুকে।

এদিকে জোড়াসাঁকোয় হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়া ভবনের অব্যবহৃত ঘর ভেঙে নির্মাণ কাজ চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন জনৈক স্বদেশ মজুমদার। মামলাকারীর আইনজীবী অভিযোগ করেন, জোড়াসাঁকো ভবন ‘গ্রেড ওয়ান হেরিটেজ’ (Grade One Heritage)। সেই ভবনের দু’টি ঘর ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
সোমবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অংশের নির্মাণ কাজ ভেঙে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেয় আদালত। নির্দেশ কার্যকর করতে কলকাতা পুরসভাকে (KMC) তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছে উচ্চ আদালত। মামলার পরের শুনানি ১৯শে ডিসেম্বর ।
সেই সঙ্গে আদালতের তরফে জানানো হয় হেরিটেজ বিভাগের দায়িত্ব, পুনরুদ্ধারের পর হেরিটেজ ভবন বলে আলাদা করে চিহ্নিত করতে হবে ওই জায়গাকে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘হেরিটেজ ভবন না হলেও, যে কেউ গিয়ে যে কোনও জায়গায় পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলতে পারে?’’


মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, যে ঘরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম বার সাক্ষাৎ হয়েছিল, সেখানে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের (TMC) “শিক্ষাবন্ধু সমিতি” নামে একটি সংগঠনের কার্যালয় তৈরি হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের ছবি খুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ছবি টাঙানো হয়েছে।
সূত্রের খবর গোটা বিষয়টি তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে রীতিমত অস্বস্তি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছে, তাই কি হেরিটেজ কমিশনে তড়িঘড়ি এই পরিবর্তন?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *