আজ খবর ডেস্ক:
Mamata দিন কয়েক আগে এনসিসির ফান্ড (NCC Fund) বন্ধের খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “শুধু এনসিসির ফান্ড নয়, আরও অনেক কিছুর ফান্ড বন্ধ আছে। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা কয়েকমাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। ডিসেম্বরে সরকার সরকারি কর্মীদের বেতন গিতে পারবে না”। শুভেন্দু আরও বলেন, “মদ আর লটারি বিক্রি ছাড়া গতি নেই সরকারের।”
এমনকী, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেছেন, দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার রোজগার বাড়াতে নতুন পন্থা নিয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জরিমানা বৃদ্ধি করে আয় বাড়াতে। যদিও শুভেন্দু সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ নয়া ট্রাফিক আইন বস্তুত কেন্দ্রের বানানো।
I would rather advice the Traffic Police Department not to engage in such shenigans as it would only result in drawing the ire of the general public.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 6, 2022
Moreover the WB Govt is facing such financial crunch that it’s beyond the scope of the Traffic Police Dept to bail out the Govt.
তবে এর মধ্যে রাজ্যের জন্য সুখবর একটাই। গত পাঁচ মাস ধরে শিক্ষা খাতে কেন্দ্রীয় সরকারে কাছে বকেয়া ৯৫০ কোটি টাকা শেষ পর্যন্ত এসে পৌঁছল রাজ্যের কাছে। সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্পে কেন্দ্রের অংশীদারিত্ব ৬০ শতাংশ, রাজ্যের অংশীদারিত্ব ৪০ শতাংশ। সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা কেন্দ্র সরকার বিগত পাঁচ মাস ধরে আটকে রেখেছিল বলে অভিযোগ ছিল রাজ্যের। নবান্নের (Nabanna) তরফে বারবার আর্জি জানানো হয়েছিল।
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে রাজনৈতিক অভিযোগ ছিল গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আপত্তির জন্যই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে রয়েছে রাজ্যের, এমনটাই অভিযোগ ছিল শাসকদলের বহু নেতার। শেষ পর্যন্ত মিলল শিক্ষা খাতের এই অর্থ।
যদিও নবান্নের দাবি, একশো দিনের কাজের টাকা সহ বাংলা আবাস যোজনার টাকাও আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এই বিষয়ে একাধিকবার সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। নবান্ন থেকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদদের এক প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে। টাকা কেন আটকে রাখা হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, শেষপর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার বঙ্গ বিজেপি একাংশের আপত্তি উড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ৯৫০ কোটি টাকা পাঠাল। সর্বশিক্ষা মিশন খাতে এই টাকা দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের অধীনে চলে সর্বশিক্ষা মিশন। এই প্রকল্পের অধীনে স্কুলের নতুন ক্লাসরুম তৈরি, নতুন ভবন তৈরি, মডেল স্কুল তৈরি-সহ স্কুলশিক্ষার একাধিক কাজ সম্পন্ন করতে এই টাকা ব্যবহার করতে হবে।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সঙ্ঘাত নতুন কিছু নয়।
রাজ্যের অভিযোগ ছিল তাঁদের প্রাপ্য টাকা দেওয়া হচ্ছে না, কারণ বঙ্গ বিজেপি নেতারা বারবার আপত্তি তুলছেন ওই টাকা নিয়ে। রাজ্যের বিরুদ্ধে হিসেবে গরমিল-সহ এক দপ্তরের টাকা অন্য খাতে লাগানোর অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বার্তা পর্যন্ত পাঠানো হয়েছিল। আর্জি জানানো হয়েছিল যাতে রাজ্যকে বিভিন্ন খাতের টাকা পাঠানো বন্ধ রাখা হয়।
তবে ভারতীয় সংবিধানে একাধিক বিষয়ে রয়েছে, কেন্দ্র ও রাজ্য যুগ্মভাবে সেই সব দপ্তরের দায়িত্ব পালন করে।
শিক্ষা তেমনই একটি দপ্তর।