আজ খবর ডেস্ক:
একজন এলাকার পুরনো কাউন্সিলর। অপরজন বিজেপি (BJP) থেকে দলে নতুন এসেই বিধায়ক, মন্ত্রী হয়েছেন। দুজনের সম্পর্ক “ভাল”, এমন অভিযোগ তাঁদের পরম শত্রুও করবেন না। দুজনের মধ্যে এক প্রস্থ ঝামেলা হয়ে গিয়েছে, সম্প্রতি বিজয়া সম্মিলনীকে (Bijoya Sammelan 2022) কেন্দ্র করে। যা মেটাতে মাঠে নামতে হয়েছিল কলকাতা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতৃত্বকে।


অল্প দিনের মধ্যেই ফের ঝামেলায় জড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতা। একদিকে বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo), অপরদিকে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুদর্শন মুখোপাধ্যায় (Sudarshana Mukherjee)।
যার জেরে অভূতপূর্ব দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন দক্ষিণ কলকাতার এই অন্যতম অভিজাত এলাকার বাসিন্দারা।

প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) বিধানসভা কেন্দ্র ছিল এই বালিগঞ্জ (Ballygunge)। তারই অন্তর্গত এই ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড। একসময় যার কাউন্সিলর ছিলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা রাজীব দেব।


এবারের পুরভোটে প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের রেশ এই ওয়ার্ডের জগদ্ধাত্রী পুজোকে ঘিরেও। একই নামের দুই কমিটি। দুজনেরই দাবি, তাঁরা সুব্রত অনুগামী।
একটি কমিটি (এলাকার কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের গোষ্ঠী), গড়িয়াহাট বাজার লাগোয়া ফার্ন রোডে বারোয়ারি পুজো করছে।

Tmc-Jagaddhatri Puja আরেক কমিটি (বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় গোষ্ঠী) শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও পুজোর জায়গা জোগাড় করতে পারেনি। তাই প্রতিবাদে প্রতীকী হিসেবে ম্যাটাডোরের ওপর পুজো করছে।

পুজো বা ভোগের আগ্রহই শুধু নয়, একই পাড়ার মধ্যে এমন অভিনব পুজো বিভাজন দেখতেও ভিড় জমাচ্ছেন দর্শক।
বুধবার দুপুরে আবার নিজের কমিটির পুজোর সামনে দাঁড়িয়ে ভোগ বিতরণ করলেন খোদ কাউন্সিলর সুদর্শনা নিজেই।
বস্তুত, রাজ্যে জগদ্ধাত্রী পুজোর ইতিহাসে এভাবে ভ্রাম্যমাণ ম্যাটাডোরে জগদ্ধাত্রী পুজো কার্যত নজিরবিহীন। মঙ্গলবার রাতেই ম্যাটাডোর এনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে ফার্ন রোডের কমলা চ্যাটার্জি স্কুলের সামনে। Tmc-Jagaddhatri Puja
রাস্তায় যে মণ্ডপে পুজো হচ্ছে, তার থেকে এই ম্যাটাডোরের দূরত্ব একশো মিটারেরও কম। পরিস্থিতি আঁচ করে বুধবার সকাল থেকেই এখানে পুলিশ মোতায়েন করেছে গড়িয়াহাট থানা।

মাস কয়েক আগে বিজয়া সম্মিলনীতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছিল শহর কলকাতায়। সেখানেও লড়াইটা ছিল এই বিধায়ক বনাম কাউন্সিলরের। দলের বিজয়া সম্মেলনে আমন্ত্রণ না পেয়ে বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের একাংশের বিরুদ্ধে। যার জেরে ভেস্তে যায় অনুষ্ঠান। সোনা গিয়েছিল, বিক্ষুব্ধরা সকলেই ছিলেন সুদর্শনা গোষ্ঠীর লোকজন। সে সময় তৃণমূল সূত্র খবর মিলেছিল, দুই গোষ্ঠীকে সতর্ক করেছে দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *