আজ খবর ডেস্ক:
Winter care শীতকাল মানেই যেন আলস্য। একটু আরাম, পার্টি, হুল্লোড় আর পিকনিক।
ডাক (Duck), পর্ক (pork) থেকে ল্যাম্ব (Lamb) রোস্ট। নানাবিধ ওয়াইন (Wine) অথবা স্কচ (Scotch)! বছরের এই সময়টা মূলত ভারতীয়রা চেটেপুটে উপভোগ করেন।


আর সেই সঙ্গে নিয়মিত জিমে না যাওয়া, ওয়ার্কআউট সেশনগুলি এড়িয়ে যাওয়া। আমরা তখন ভুলেই যাই যে, দীর্ঘমেয়াদে এতে আসলে আমাদের ক্ষতিটাই বেশি হয়।
বস্তুত, ঠান্ডা আবহাওয়া “শুধু আমাদের অলস করে তোলে না, ঘাম হ্রাসের কারণে ওজন কমানোর গতিও কমিয়ে দেয়”৷

তাই শীতে ফিট থাকার কিছু সহজ উপায় জানানো হচ্ছে আপনাদের।
১) ত্বকের যত্ন নিন (Skin Care)

শীতকালে ফাটা এবং শুষ্ক ত্বক বিরক্তিকর একটি সমস্যা। ঠাণ্ডা আবহাওয়ার ফলে ত্বকের ক্ষতি হয়। ফলে চুলকানি (Rash) এবং শুষ্ক, ফাটা গোড়ালি এবং ফাটা ঠোঁট আমাদের ভোগায় । প্রচুর পরিমাণে জল পান করা এবং একটি ভাল ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা আপনাকে এই সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করতে পারে। শীতকালে ত্বকের নিয়মিত যত্নের রুটিন মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

২) নিয়মিত ব্যায়াম (Regular Excercise)

শীতের দিনে অনেকেই আলস্য বোধ করেন। এই সময় লেপ বা কম্বলের তলা থেকে বেরিয়ে ব্যায়াম করা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু শীতকালে নিয়মিত ব্যায়াম আপনাকে উষ্ণ থাকতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ফ্লু (Flu) আর সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে।
ফিটনেস ক্লাসে যোগ দিতে পারেন, ওজন তুলতে পারেন বা একটি সাধারণ নাচ যা কিছু ক্যালোরি কমায়, তা করতে পারেন।

৩) প্রচুর প্রোটিন খান (Protien Intake)

নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রোটিন একটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার সারা দিন আপনার শক্তির মাত্রা বাড়াতে পারে। প্রোটিন টিস্যু, হাড় গঠনে সাহায্য করে এবং শরীরের বিপাক ক্রিয়াও বাড়ায়। প্রচুর পরিমাণে মুরগির মাংস (Chicken), দুগ্ধজাত পণ্য, বাদাম এবং বীজ আপনাকে শীতকালে প্রোটিন সরবরাহ করতে পারে।

৪) ডায়েটে ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন (Omega3 Diet)


ওমেগা-৩ হল স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড যা বিভিন্ন খাবারে পাওয়া যায়। মাছ এবং শাকসব্জি খান বেশি করে। এই স্বাস্থ্যকর চর্বি চোখের স্বাস্থ্য, ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এটি শীতকালে জয়েন্টের ব্যথা (Joint Pain) এবং জয়েন্টের শক্ত হয়ে যাওয়া কমায়।

৫) বেশি করে ফাইবার খান (Fibre Food)


ফাইবার সাধারণত ফল, শস্য, শাকসবজি, বাদাম এবং বীজে পাওয়া যায় যা আপনার হজমের সমস্যার জন্য খুবই সহায়ক। এটি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে যা স্থূলতা প্রতিরোধ করে। Winter care

৬) ডায়েট থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ (No Carb Diet)


যদিও শীতকালে কার্বোহাইড্রেট আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় তবে অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণে। সুস্বাদু খাবার সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায় যা আপনাকে সুখী করে এবং আপনার লোভ বাড়ায়। কার্বোহাইড্রেট এবং মিষ্টি খাওয়া স্থূলতা এবং অন্যান্য সম্পর্কিত সমস্যার কারণ হতে পারে।

৭) ফল এবং সবজির উপর গুরুত্ব দিন (Fruits/Vegetable Diet)


ফল এবং শাকসব্জি বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ হয়। এগুলো আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
পালং শাক, কলা, কমলা, গাজর ইত্যাদি সবই সুস্বাদু খাবার যা আপনি শীতকালে উপভোগ করতে পারেন। শীতকালে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ভিটামিন সি, জিঙ্ক এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার জরুরি।

৮) প্রতিদিন সকালে তুলসি এবং মধু (Tulsi/Honey)


শীতে কাশি এবং সর্দি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তুলসি এবং মধু শরীর ফিট রাখতে সাহায্য করে। Winter care প্রতিদিন সকালে একটি তুলসীপাতা নিন এবং এক চামচ মধুর সাথে খান। এটি সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে বাঁচার জন্য একটি পরীক্ষিত পদ্ধতি।

৯) ভালো ঘুম (Sleep)


একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। শীতে নিজেকে সুস্থ এবং উষ্ণ রাখতে আপনার ঘুমের ধরণ পরিবর্তন করতে পারেন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম শরীরকে ঠান্ডার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি শরীরের ইমিউন সিস্টেম ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং স্ট্রেস হরমোন দূর করে।

১০) সময়মতো আপনার ফ্লু শট নিন (Flu Booster)


শীতের আগে ফ্লু শট নিলে আপনার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৫০% কমে যায়। এটি পাওয়ার আদর্শ সময় হল অক্টোবর-নভেম্বর। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শীতকালীন টিপ হল এই ঋতুতে নিয়মিত চেকআপ করা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *