আজ খবর ডেস্ক:
Black Money প্রথমে নোটবন্দি (Demonetisation)। আর তারপরে জিএসটি (GST)। একদিকে যখন এই দুই বিষয়কে কেন্দ্র করে দেশের অর্থনীতির সমালোচনা করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো, তখন মোদি (Narendra Modi) জমানার সুশাসন নিয়ে চর্চা চালিয়ে যায় গেরুয়া শিবির।
তবে ঘুরে ফিরে বিরোধীদের নিশানায় থাকে একটাই প্রশ্ন,
নোটবন্দির পর কত কালো টাকা (Black Money Recovered) উদ্ধার হয়েছে?
যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অথবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এ নিয়ে স্পষ্ট কখনই কোনও জবাব দেননি। অবশেষে সেই রহস্যের যবনিকা পাত হল এদিন। সরাসরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ (Ashwini Vaishnaw) জবাব দিলেন সেই প্রশ্নের। Black Money

কেন্দ্রীয় রেল, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের এই মন্ত্রীর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার এ পর্যন্ত প্রায় ১.২৫ লক্ষ কোটি কালো টাকা উদ্ধার করেছে। এর সঙ্গে ৪,৬০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বেআইনি সম্পদ সংযুক্ত করা হয়েছে।
অশ্বিনী বৈষ্ণ এদিন দিল্লিতে বলেন, “আজ ১০০ শতাংশ অর্থ DBT (ডাইরেক্ট ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার) এর মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছেছে। কিন্তু আজ ২৬ লক্ষ কোটি টাকা সরাসরি মানুষের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে”।

প্রস্তুত দেশের শাসকদলকে চাপে ফেলতে ঘুরেফিরে এই প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। সেই সঙ্গে টিপ্পনী থাকে বিজয় মালিয়া (Vijay Mallya), নিরব মোদী (Nirav Modi) প্রসঙ্গেও। এ বার এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এ ব্যাপারে মুখ খুললেন। মোদি জমানায় কত কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে, তার স্পষ্ট হিসাব দিলেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সুশাসন মডেল সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর একটি পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে যে দেশকে শর্টকাট রাজনীতির দিকে না নিয়ে গিয়ে সুশাসনের দিকে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী একটি ডিজিটাল কাঠামো তৈরি করেছেন যাতে সুশাসন দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছায়”।
অশ্বিনী সোমবার এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মোদির সুশাসনের জন্যই সরকারি অর্থ দেশের মানুষের হাতে পৌঁছচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, মোদির জমানায় বিপুল পরিমাণ কালো টাকা এবং কয়েক হাজার কোটি টাকা মূল্যের বেনামি সম্পত্তি এখন সরকারি হিসাবভুক্ত।

কী করে এই সাফল্য, তার ব্যাখ্যা দিয়ে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, মোদির তৈরি ডিজিটাল স্ট্রাকচারই রয়েছে এর নেপথ্যে। সুশাসন নানা ভাবে কার্যকর করা যোতে পারে। ডিজিটাল মাধ্যম এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উপযোগী। মোদী ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে এবং প্রতিশ্রুতি দেওয়া প্রকল্পগুলি রূপায়ণের মাধ্যমে সেই সুশাসন এনেছেন।
তবে রাজনৈতিক মহল নিশ্চিত, এত কিছুর পরেও ছেড়ে কথা বলতে রাজি নয় বিরোধী শিবির। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বারবার এই প্রশ্ন উঠবে যে উদ্ধার হওয়া কালো টাকা কী ভাবে দেশের আম জনতার স্বার্থে কাজে লাগানো গিয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *