আজ খবর ডেস্ক:
Anubrata Mondal সময়ের ফের হয়ত একেই বলে! রাজ্যের শাসক দলের প্রবল দাপুটে নেতা নাকি এই মুহূর্তে প্রবল আর্থিক অনটনে।
কথা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)।
গত আগস্ট থেকে বন্দিদশায় তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁর “অগাধ সম্পত্তি” বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, ফ্রিজ় হয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও।
এর আগেও একাধিকবার মামলার খরচ চালানো নিয়ে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিলেন অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা। ফের ঘুরেফিরে এলো সেই প্রসঙ্গ।

গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) অন্যতম মূল অভিযুক্ত তিনি। তাঁর হয়ে আইনি লড়াইয়ে নামা একাধিক আইনজীবীর খরচ আসছে কোথা থেকে? এই প্রশ্ন বড় হয়ে উঠেছে সিবিআই (CBI), ইডি (ED) র তদন্তকারীদের মধ্যেও। এবার সেই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে অর্থাৎ অনুব্রত-মামলার সেই ‘গৌরী সেন’-কে খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে ইডি।
বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গত ১১ই আগস্ট অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। মূল অভিযোগ ছিল, তিনি গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত। পরবর্তী সময়ে বেআইনি চালকলের মালিকানা থেকে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তি সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। Anubrata Mondal

বিরোধীদের দাবি, যাঁর ‘আয় তেমন নয়’, আদালতে তাঁর হয়ে মামলা লড়ছেন একাধিক প্রথিতযশা আইনজীবী। যাঁদের মধ্যে কারও কারও এক দিনের ‘অ্যাপিয়ারেন্স ফিজ়’ ৩৫ লক্ষ টাকা। অনুব্রত ওরফে কেষ্টর হয়ে আইনি লড়াইয়ের এই বিপুল ‘ব্যয়ভার’ তা হলে কে বা কারা সামাল দিচ্ছেন?
অনুব্রত কন্যা সুকন্যাও রয়েছেন সিবিআইয়ের আতশ কাচের তলায়। তাঁরও সব ব্যাঙ্ক আ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কী ভাবে মামলার বিপুল খরচের জোগান আসছে, প্রশ্ন তুলছেন তদন্তকারীরা।

জানা গিয়েছে, অনুব্রতের হয়ে সওয়াল করা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কপিল সিব্বলের এক দিনের পারিশ্রমিক প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। সেটা দিল্লিতে। আর দিল্লির বাইরে কোথাও সওয়াল করতে গেলে খরচ পড়ে ৩০ লক্ষেরও বেশি। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, ওই সব আইনজীবী তো নিখরচায় অনুব্রতের হয়ে লড়াই করছেন না। তা হলে খরচটা জোগাচ্ছে কে?
আইনজীবী মহল জানাচ্ছে, অনুব্রতের হয়ে সওয়াল করা অন্য এক কৌঁসুলির ও দৈনিক হাজিরায় খরচ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *