আজ খবর ডেস্ক:
Sleeping positions কেউ পাশবালিশ আঁকড়ে ডান বা বাম পাশ ফিরে, কেউ উপুড় হয়ে মাথার বালিশে মুখ গুঁজে! কেউ আবার চিত হয়ে বুকের ওপর আড়াআড়ি দুই হাত রেখে শুয়ে পড়েন। কেউ আবার ঘুমের মধ্যেই অনবরত জায়গা বদল করতে থাকেন বিছানায়।


এর মধ্যে চিত হয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস শরীরের জন্য খুবই ভাল, এমনটাই বলছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা। চিত হয়ে শুলে মিলতে পারে কী কী উপকার? রইল তার তালিকা:

১। ২০১৭ সালের একটি গবেষণা বলছে, চিত হয়ে শুলে কাঁধ, পিঠ এবং মেরুদণ্ডের (Spinal Cord) আরাম হয়। মেরুদণ্ডের ওপর চাপ কম পড়ে। ঘাড় ও মেরুদণ্ডের হাড়ের স্বাভাবিক গঠন বজায় থাকে। বালিশ মাথার তলায় থাকলে চিত হয়ে শোয়ার ফলে সবচেয়ে বেশি বিশ্রাম মেলে। Sleeping positions

২। চিত হয়ে ঘুমোলে পাঁজরের (Ribs) পেশি ও ডায়াফ্রাম পেশির ওপর কম চাপ পড়ে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের উন্নতি হয়। ফুসফুস ভরে শ্বাস নেওয়া সহজ হয়। এতে ফুসফুসের ক্ষমতা যেমন বাড়ে, তেমনই বাড়ে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা। ধীর ও গভীর শ্বাসে অজান্তেই কমে মানসিক চাপ। বজায় থাকে হরমোনের ভারসাম্য।

৩। কোনও এক দিকে পাশ ফিরে শুলে বালিশের সঙ্গে মুখের ঘষা লাগে। ফলে ত্বকের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। অনেকেই মনে করেন, মুখে বয়সের ছাপ পড়া, ত্বক কুঁচকে যাওয়ার অন্যতম কারণ পাশ ফিরে শোয়া। চিত হয়ে শুলে এই সমস্যা অনেকটাই কমে।

৪। একটু উঁচু বালিশ নিয়ে চিত হয়ে শুলে নাসিকাগহ্বরে (Nostril) মিউকাস জমা হওয়ার আশঙ্কা কমে। ফলে সাইনাসের সমস্যা থাকলে আরাম মিলতে পারে চিত হয়ে শুলে। নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যাও এর ফলে বেশ কিছুটা কমে যায়। এই ভাবে শুলে খাদ্যনালিও কিছুটা উঁচু হয়ে থাকে। ফলে টক ঢেকুর ওঠার সমস্যা কমতে পারে।

৫। অনেক সময় ঘাড় ও মেরুদণ্ডের সমস্যা থেকে মাথাব্যথা হয়। একে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘সারভিকোজেনিক হেডেক’। অনেকেই আবার এই যন্ত্রণাকে মাইগ্রেন (Migraine) বলে ভুল করেন। চিত হয়ে শুলে এই সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *