আজ খবর ডেস্ক:
VHP Xmas Warning ২৫শে ডিসেম্বর। দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে বড়দিন (Christmas)। আলোর মালায়, Xmas Tree তে সেজে উঠেছে রাস্তা, বাড়িঘর। কেক কেটে, খেয়ে ও খাইয়ে চলছে বড়দিন উদযাপন। শুধু খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরাই নন, উৎসবের আমেজে মেতেছেন অন্য ধর্মের মানুষও।
কিন্তু তার মধ্যেই এদিক ওদিক থেকে আসছে অশান্তির খবর। মধ্যপ্রদেশের ভোপাল (Bhopal) অথবা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) রাজ্য গুজরাট (Gujarat), বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) তরফে হুমকি মারধোরের অভিযোগ এসেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। VHP Xmas Warning
মধ্যপ্রদেশের ভোপালের স্কুলগুলিকে ক্রিসমাস উদযাপনের জন্য শিক্ষার্থীদের সান্তা ক্লজের মত সাজতে না দেওয়ার জন্য বলেছে এই হিন্দু সংগঠন৷ শহরের স্কুলগুলির অধ্যক্ষদের কাছে এই বিষয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে তাঁরা।
হিন্দু সংগঠনের মতে, সনাতন হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের জোর করে ক্রিসমাস ট্রি আনতে এবং সান্তা ক্লজের মত সাজতে বলা হচ্ছে।
VHP র বক্তব্য, “এটা হিন্দু শিশুদের খ্রিস্টান ধর্মে উদ্বুদ্ধ করার ষড়যন্ত্র। এই ধরনের পোশাক বা গাছ কিনে আর্থিকভাবে অভিভাবকরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আমাদের হিন্দু সন্তানদের রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, গৌতম, মহাবীর, এবং গুরু গোবিন্দ সিং হওয়া উচিত”।
চিঠিতে যোগ করা হয়েছে, “ভারত সাধুদের দেশ, সান্তার নয়।”
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আরও বলেছে, তাঁরা এই ধরণের স্কুলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।
অন্যদিকে, সান্তা ক্লজ (Santa Claus) সেজে বাচ্চাদের মধ্যে চকলেট বিলি করছিলেন এক ব্যক্তি। ক্রিসমাসের আনন্দে গা ভাসিয়েছিলেন সবার সঙ্গে। আর এতেই চটে লাল এলাকার উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা! ক্ষোভের মুখে পড়ে চলল বেধড়ক মারধর। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের (Gujarat) ভদোদরায়। আক্রান্তের নাম শশীকান্ত দাভি।
भारत भूमि संतो की भूमि – सांता की नही
— Vishva Hindu Parishad – Madhya Bharat (@VHPBhopal) December 24, 2022
किसी भी हिन्दू छात्र को अभिभावक की अनुमति के बिना सांता नही बांये @VHPDigital @vinod_bansal pic.twitter.com/Y70Kr0lw7N
এই নিয়ে পুলিশে এফআইআর দায়ের করেন আক্রান্ত ব্যক্তি। এরপরই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। পুলিস সূত্রে খবর, মাকারপুরা এলাকার অবধুত কলোনিতে বেশ কিছু খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষের বসবাস। তাই সেখানেই সবার সঙ্গে উৎসবে মেতেছিলেন শশীকান্ত। সান্তা ক্লজ সেজে বাচ্চাদের মনোরঞ্জন করছিলেন তিনি।
এরপরই সেখানে পৌঁছয় এলাকার বেশ কয়েকজন উগ্র হিন্দুত্ববাদী মানুষ। সেখানে ঢুকে পড়ে জোর করে থামিয়ে দেওয়া হয় অনুষ্ঠান। তারপর সান্তারূপী শশিকান্তকে ধরে প্রবল মারধর করে তারা। বলা হয়, ওই এলাকায় এমন বিধর্মীদের অনুষ্ঠান করা যাবে না। সেখানে উপস্থিত থাকা আরও কয়েকজনকে ধরে মারধর করে ওই নেতারা। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন এক মহিলাও।
এছাড়াও, গত শনিবার দুপুরে উত্তরপ্রদেশের উত্তরকাশী জেলার একটি বড়দিনের জমায়েতে হামলা চালায় অন্তত ৩০ জন হিন্দুত্ববাদীর একটি দল। ওই অনুষ্ঠানে হিন্দুদের খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত করা হচ্ছে অভিযোগ করে, লাঠি এবং অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে জমায়েতের ওপর চড়াও হয় তারা। ঘটনায় প্রাথমিকভাবে এক যাজক ও তাঁর স্ত্রী সহ মোট ছয়জনকে আটক করে পুলিশ।