আজ খবর ডেস্ক:
Covid19 Surge করোনা (Covid 19) সংক্রমণ নিয়ে ফের আতঙ্ক বিশ্বজুড়ে। উৎস সেই চিন (China)। সপ্তাহের শুরুতে চিনে মৃত্যু হয়েছে কয়েক হাজার মানুষের। লকডাউন (Lockdown) আবার জোরালো হচ্ছে চিনে। সঙ্গে যাতারাতে নিয়মনিষেধও বাড়ানো হচ্ছে। শয্যা বাড়ানো-সহ হাসপাতালগুলোর পরিকাঠামোর বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সে দেশের প্রশাসন।
চিনের পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে ভারত সরকার (India Government)। সমস্ত রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, করোনা ভাইরাসের সন্ধান পেলেই যেন নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পাঠানো হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘ইনসাকগ’ (INSACOG) ভারতে করোনার বিভিন্ন প্রজাতি (স্ট্রেন) নিয়ে নিয়মিত চর্চা ও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ সব রাজ্যকে যে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, জাপান, আমেরিকা, কোরিয়া, ব্রাজিল ও চিনে আচমকা করোনা বাড়বাড়ন্তের নিরিখে রাজ্যে রাজ্যে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করতে হবে। যাতে করোনার রূপ (ভ্যারিয়েন্ট) এবং তার অগ্রগতি সম্পর্কে বিশদ ধারণা তৈরি করে রাখা সম্ভব হয়। আগামী দিনে নতুন কোনও প্রজাতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। Covid19 Surge
এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র বিজ্ঞানী মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেছেন, ২০২২ সালে সারা পৃথিবীতেই কোভিডের জিনোম সিক্যুয়েন্সিং পরীক্ষা প্রায় ৯০ শতাংশ হারে কমে গিয়েছে। আর সেই কারণেই আগামী বছরে ভয়াবহ আকার নিতে পারে কোভিড সংক্রমণ। কারণ করোনা কীভাবে নিজের রূপ বদলাচ্ছে, সে সম্পর্কে ভাল করে ধারণা তৈরিই হয়নি এই বছরে। আগামী বছর সেই কারণেই নাকি এই ভাইরাস আবার কামড় বসাতে পারে। তাঁর কথা যে যুক্তিসঙ্গত তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হচ্ছে চিন, জাপান, কোরিয়া, আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পরিসংখ্যান দেখে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, আজ, করোনা আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ১১০, মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৪৯০। সংক্রমণের হার ০.০১৭ শতাংশ। বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে সতর্কবার্তা দিল কেন্দ্র।