আজ খবর ডেস্ক:
Artificial Baby কল্পবিজ্ঞান যেন নেমে আসছে বাস্তবের মাটিতে! ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে আমাদের যাবতীয় চেনা পরিচিত ধ্যান-ধারণা।
বিভিন্ন হলিউডের সিনেমাতে আমরা দেখেছি, বাচ্চা জন্ম দেওয়ার জন্য মাতৃগর্ভের (Womb) প্রয়োজন পড়ে না। এতদিন এগুলো গল্প বা সায়েন্স ফিকশনে দেখা গেলেও সেই দিন দূরে নেই যখন পৃথিবীতেও এরকম ভাবে বাচ্চার জন্ম হবে। Artificial Baby

প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে এমন অনেক কিছুই ঘটে যা প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। যা নিঃসন্দেহে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। কিন্তু তাই বলে কারখানায় (Artificial Womb) বাচ্চা তৈরি হবে! এও কি সম্ভব? কীভাবে জন্ম নেবে এই বাচ্চারা?

কৃত্রিম উপায়ে তৈরি এই বাচ্চাদের জিনে বদল ঘটিয়ে তাদের চুল ও চোখের রং, উচ্চতা, গায়ের রং ও বুদ্ধিতে বদল আনা যাবে। সম্প্রতি এক্টোলাইফের (Ectolife Baby) বিজ্ঞানী হাসিম আল ঘায়েলি (Hashem Al Ghaili) সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম ভ্রুণ কেন্দ্রটি দেখানো হয়েছে সেখানে। এছাড়াও কৃত্রিম ভাবে একটি সন্তানের জন্মও দেখানো হয়েছে।

হাসিম আল ঘায়েলি

প্রসঙ্গত, এক্টোলাইফ সংস্থাটির এই মুহূর্তে মোট ৭৫টি ল্যাব রয়েছে। সেখানে এক একটি ল্যাবে মোট ৪০০টি কৃত্রিম গর্ভ বা ‘গ্রোথ পড’ রয়েছে। জানা গিয়েছে , বাস্তবের গর্ভের সঙ্গে কৃত্রিম গর্ভের কোনও পার্থক্যই নেই। অত্যন্ত নিরাপদও বটে সেটি। এই কৃত্রিম প্রজনন ক্ষেত্র গুলো সাহায্য করবে সেইসব দেশকে, যাদের এই মুহূর্তে জনসংখ্যা হ্রাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর গড়ে ৩ লক্ষ মহিলা গর্ভাবস্থায় কোনও না কোনও স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য প্রাণ হারান। এছাড়াও পৃথিবীর জুড়ে বহু নারী ও পুরুষ রয়েছেন যাঁরা চেয়েও সন্তানের জন্ম দিতে পারেন না। তাঁদেরও সাহায্য করতে পারবে এক্টোলাইফের কৃত্রিম গর্ভ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *