আজ খবর ডেস্ক:
Karagar 2 দুই বাংলা জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল গত আগস্টে। ওটিটি (OTT) প্লাটফর্ম হইচই (Hoichoi)-এ ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’ (Karagar) সাড়া ফেলেছিল। অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর (Chanchal Chowdhury) অভিনয় এই ওয়েব সিরিজটির রহস্য যেন আর ও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। তখনই জানানো হয়, এর পার্ট ২ এর জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। যেমন কথা তেমন কাজ। বুধবার মাঝরাতে মুক্তি পেল চঞ্চলের কারাগার পার্ট ২, ঠিক ৪ মাসের মাথায়।
বস্তুত, কারাগার’-এর জনপ্রিয়তা দুই বাংলাতেই সমান ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। অথচ চঞ্চল চৌধুরীর মুখে ছিল না কোনও সংলাপ। শুধুই চোখ আর শরীর দিয়ে অভিনয় করে দুই বাংলার দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলেন এই অভিনেতা। এই সিরিজ় এবং চঞ্চলকে নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনা এতটাই ছিল যে, তা মালুম পাওয়া গিয়েছিল কলকাতায় অনুষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবেও। Karagar 2
চঞ্চল অভিনীত ‘হাওয়া’ (Hawa) দেখতে লোকে লাইন দিয়েছিলেন তিন-চার ঘণ্টা ধরে। ২২শে ডিসেম্বর থেকে শুরু হল কারাগার পার্ট২ স্ট্রিমিং। কিন্তু প্রথম ভাগের মত জমল কি এই ভাগও?
জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধেতে বাংলাদেশের ঢাকায় (Dhaka, Bangladesh), ধানমন্ডির অঁলিয়স ফ্রসেতে বড় পর্দায় ‘কারাগার পার্ট ২’ এর একটি প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কারাগার ওয়েব সিরিজটির অভিনেতা, শিল্পী, অন্যান্য কলাকুশলী ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
আলোচিত ওয়েব সিরিজ কারাগার-এ চঞ্চল ছাড়াও অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, তাসনিয়া ফারিণ, ইন্তেখাব দিনার, বিজরী বরকতউল্লাহ, এফএস নাঈম, একে আজাদ সেতু প্রমুখ।
কারাগারের প্রথম পর্বে চঞ্চল চৌধুরীকে সেন্ট্রাল জেলের এক রহস্য মানব হিসেবে দেখা গিয়েছিল। রহস্য এতটাই ছিল যে চঞ্চলের জন্ম, আগমন সবকিছু নিয়েই কৌতূহলী ছিলেন দর্শক। হইচই জানাচ্ছে, সেই প্রশ্নগুলোর জবাব মিলবে কারাগারের দ্বিতীয় পর্বে।
‘কারাগার পার্ট ওয়ান’-এ ১৪৫ নম্বর সেলের কয়েদি আসলে কে? সে কি সত্যিই বোবা? কী করে এল জেলের ভিতর? সে কি সত্যিই ২৫০ বছর ধরে বেঁচে রয়েছে? জেলার মোস্তাকের ছেলের গল্পটাই বা কী? মাহার বাবা কে? নানা প্রশ্ন দানা বেঁধেছিল দর্শকের মনে। নয়া সিজনে সেই সব উত্তর মিলেছে দর্শকদের। এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট বলছে, এক রাতে এটি সংখ্যক দর্শক এর আগে কোন ও বাংলা ওয়েব সিরিজ দেখেননি।
সাতটি এপিসোডের কারাগার ২। প্রাথমিক রিপোর্ট আর ও বলছে, ‘কারাগার পার্ট টু’ দর্শকের মনে জিতে নিয়েছে মূলত অভিনয় এবং মেকিং এ। চঞ্চলের মুখে এ বার অনেক সংলাপ জুড়লেও তাঁর চোখ অভিনয় করা থামায়নি। মোস্তাকের চরিত্রে ইন্তেখাব দিনার কিংবা আশফাকের চরিত্রে এফ এস নাঈম বা মাহার চরিত্রে তাসনিয়া ফারিন আগের ভাগেও যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এই পর্বে বিশেষ করে চোখে পড়বে জল্লাদ এবং রাজুর চরিত্র। এই পর্বেও আগের মতোই আবহসঙ্গীত, ক্যামেরা, ট্রিটমেন্ট— সবই গল্পের আমেজ গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকী সাসপেন্স তৈরি করতে যে পারদর্শী, তার প্রমাণ মিলেছে এবার ও। মুক্তিযুদ্ধ, রাজাকারদের অত্যাচার, একটি গোটা প্রজন্মের অস্তিত্ব সঙ্কট— গল্পে রয়েছে অনেক কিছুই।