আজ খবর ডেস্ক:
Aung San Suu Kyi এখন বয়স ৭৭। গত কয়েক বছর ধরে অন্তরীণ তিনি। মায়ানমারে (Myanmar) গণতন্ত্রের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নোবেল প্রাইজ (Nobel Prize) জয়ী , অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করা আং সান সু চি (Aung San Suu Kyi) কে ফের কারাদণ্ড দেওয়া হল। এবার আরও ৭ বছরের জন্য। তার ফলে সব মিলিয়ে কারাবাসের মেয়াদ বেড়ে দাঁড়াল ৩৩ বছর।


রাজনৈতিক জীবনের বেশির ভাগ সময়ই সামরিক সরকারের হাতে অন্তরীন অবস্থায় কাটিয়েছেন তিনি। সেনা পরিচালিত মায়ানমারের কোর্ট শুক্রবার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী Aung San Suu Kyi আং সান সু চি’কে ফের অতিরিক্ত ৭ বছরের জন্য কারাদন্ডে দন্ডিত করেছে। দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

এর আগে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সুচিকে। আদালতে রুদ্ধদ্বার শুনানি চলে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মায়ানমারের নেত্রী থাকাকালীন একটি হেলিকপ্টারকে ইজারা নেওয়া ও ব্যবহার করেছিলেন তিনি।
সূত্রের খবর সু চির শারীরিক অবস্থা ঠিকই আছে।
২০১৫ সাল থেকে ৫ বছরের জন্য মায়ানমারকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সু চি। মায়ানমারে গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে তাঁর দীর্ঘ প্রচেষ্টা ছিল। তবে বর্তমানে জুনতা (Junta) সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলেও নানা কথা উঠেছে।

রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (United Nations Security Council) তরফে বলা হয়েছে, জুনতা সরকারকে অবিলম্বে হিংসা বন্ধ করতে হবে। সমস্ত রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। সু চি সহ সমস্ত বন্দিদের মুক্তির দাবি জানিয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদ।
সু চিকে বন্দি করে রাখার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলেও সরব হয়েছেন অনেকেই।
বলা হচ্ছে, জীবনের বাকি দিনগুলো গরাদের পেছনে আটকে রাখার ষড়যন্ত্র করছে সেখানকার সরকার। এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত শাস্তি।

গোটা ঘটনা নিয়ে জুনতার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই যে ট্রায়াল হয়েছে তা একেবারে যুক্তিযুক্ত।
মায়ানমার সরকারের অভিযোগ, গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে সু চি প্রচারের নাম করে কোভিড বিধি (Covid Rules) ভেঙেছিলেন। তিনি রেডিও সংক্রান্ত সরঞ্জাম বেআইনিভাবে ব্যবহার করেছেন এবং দেশের সিক্রেট আইন ভেঙেছেন বলেও অভিযোগ। পাশাপাশি দেশের নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
তবে সু চি এই সব অভিযোগকে অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেছিলেন।
এদিকে সু চি’র মুক্তি চেয়ে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ক্যাঙারু কোর্টের মাধ্যমে কোনও প্রমাণ ছাড়াই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *