আজ খবর ডেস্ক:
“এগিয়ে বাংলা” এবার কার্যকর হচ্ছে? দেশের একাধিক রাজ্যে যখন স্মার্ট মিটার (Smart Meter) বসানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে, তখন বাংলায় প্রশাসনিক স্তরে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas)।


বস্তুত, ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে টু-জি বা থ্রি-জি স্মার্ট মিটারগুলিকে ফোর-জি-তে আপগ্রেড করছে ইউ পি পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড (UPPCL)। গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে কাজ। সে রাজ্যে প্রায় এক বছর ধরে রাজ্যে উপভোক্তা পরিষদ ক্রমাগত পুরানো প্রযুক্তির ভিত্তিতে বিদ্যুৎ মিটার তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে আসছে। নতুন স্মার্ট মিটার বসানোর পরামর্শ দিয়েছে তারা। ফোর-জি প্রযুক্তির উপর ভিত্তিতে তৈরি নতুন প্রিপেইড মিটারগুলি।

জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এরমধ্যেই রাজ্যে ৩৭ লক্ষ স্মার্ট মিটার বসানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে। ৮৭টি সাবস্টেশন বসানো হবে।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে আরডিএসএস প্রকল্পের আওতায় মোট ১১.৮৯৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে বলেই জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। প্রকল্পের বরাদ্দ ৬০ শতাংশ টাকা দেবে কেন্দ্র। বাকি ৪০ শতাংশ টাকা দেবে রাজ্য সরকার।
রাজ্যে বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বিজেপিকে কার্যত খোঁচা দিয়ে জানিয়েছেন, গুজরাতে এখনও লোডশেডিংয়ের (Load Shedding) সমস্যা রয়েছে। বাম জমানায় বাংলায় লোডশেডিংয়ের সমস্যা ছিল। তবে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে লোডশেডিং আর হয় না। বর্তমানে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার (WBSEDCL) গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ২০ লক্ষ। সিইএসসি-র (CESC) গ্রাহক ৩৩ লক্ষ।

বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে অরূপ জানান, রাজ্যজুড়ে ৩৭ লক্ষ ‘স্মার্ট মিটার’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ধাপে ধাপে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বসানো হবে ‘স্মার্ট মিটার’। এতে বিদ্যুৎ দপ্তরের কাজে সুবিধা হবে। অরূপ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের জন্য ৬০ শতাংশ অর্থ দেবে, রাজ্য সরকারের তরফে ব্যয় করা হবে আরও ৪০ শতাংশ অর্থ। মোট ১১ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা এই প্রকল্পে খরচ হবে বলেও জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী।

স্মার্ট মিটার হয়ে গেলে, মিটার থাকবে যে সব বাড়িতে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে কর্মীদের বিদ্যুৎ ইউনিট দেখা বা বেআইনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে না। ফলে বহু দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে। Smart Meter মিটার রিডিংয়ের সময়ও কাউকে ওই বাড়িতে যেতে হবে না। বিদ্যুৎ দপ্তরে বসেই সব কাজ করতে পারবেন কর্মীরা। তার ফলে কাজে গতি যেমন বাড়বে ঠিক তেমনই আরও উন্নত পরিষেবাও পাবেন গ্রাহকরা।স্মার্ট প্রিপেইড মিটারে প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা। দরকার না হলে রিচার্জ করবেন না। এর পাশাপাশি বিদ্যুতের খরচও কমবে। বিদ্যুৎ চুরি, মিটারে কারচুপির মতো সমস্যাও কমবে।

বিদ্যুৎ দফতরের ২ কোটি ২০ লক্ষ গ্রাহক আছে। সিইএসসি-র গ্রাহক ৩৩ লক্ষ। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যে ৮৭টি সাব স্টেশন তৈরি করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *