আজ খবর ডেস্ক:
PM Awas Yojana বিতর্ক ছিলই। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সমীক্ষার কাজ না করার দাবি জানালেন আশা কর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। মঙ্গলবার ওয়েলিংটন থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা।
তাঁদের অভিযোগ, জোর করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সমীক্ষার কাজ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। দপ্তর বহির্ভূত কাজ কেন করবেন? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
পাশাপাশি উত্তর ২৪পরগণার স্বরূপনগরের মৃত আশা কর্মী রেবা বিশ্বাসের মৃত্যুতে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সব মিলিয়ে মোট ১৩ দফা দাবিতে ওয়েলিংটন থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন আশা কর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা।
বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সমীক্ষা নিয়ে যে অর্ডার বেরিয়েছে অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে আগামী দিনে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। এদিন আশা কর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছুক্ষণ ধরে ওয়েলিংটন এবং ধর্মতলায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে কর্মব্যস্ত দিনে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। PM Awas Yojana
অন্যদিকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর সব অভিযোগ। অধিকাংশ অভিযোগের তীর অবশ্যই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) দিকে। কাঁচা বাড়ি পাকা অথবা পাকা বাড়ি কাঁচা দেখানো, ঘরের টাকা না মেলা, পঞ্চায়েত প্রধান শৌচালয়ের টাকা নিয়ে চলে গিয়েছেন এমন অভিযোগ পর্যন্ত উঠে এসেছে।
এরপরেই মঙ্গলবার নড়েচড়ে বসলো রাজ্য প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে মঙ্গলবার নবান্নে (Nabanna) জেলাশাসকদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী (Chief Secretary H K Dwivedi)।
মুখ্যসচিবের স্পষ্ট নির্দেশ, পাকা বাড়ি যাঁদের রয়েছে, তাঁরা কোনওভাবেই আবাস যোজনার বাড়ি পাবে না। যদি তাঁদের কারও প্রাপকের তালিকায় উঠে থাকে, তা দ্রুত বাতিল করতে হবে। “প্রভাবশালী” তত্ত্ব খাটবে না।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, কোচবিহার, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগণা -সহ অধিকাংশ জেলার পারফরম্যান্স রীতিমত খারাপ। যেখানে যেখানে আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে বিক্ষোভ চলছে, সেখানে জেলাশাসকদের (DM) সশরীরে হাজির হতে হবে। এই প্রকল্প ঘিরে আইনশৃঙ্খলার কোনও অবনতি যেন না হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন এইচ কে দ্বিবেদী।
এমনকী, কোথাও কোনও রকম প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হলে পুলিশ সুপারকে (SP) যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা দেওয়া নিয়ে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সংঘাত আগে থেকেই চলছিল। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাংলার জন্য ৮২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ১১ লক্ষ গ্রামীণ আবাস নির্মাণ হবে সেই টাকায়। আর এই বরাদ্দের পর থেকেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।