আজ খবর ডেস্ক:
Suvendu Adhikari হাইভোল্টেজ সোমবার। গত কয়েক মাস যাবত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একনাগাড়ে তোপ দেখে চলেছেন এই ডিসেম্বর মাসকে কেন্দ্র করে। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি ছিল, রাজ্যের শাসক দলের (TMC) সব “জারিজুরি” এই ডিসেম্বরেই ফাঁস করবেন তিনি। এমনকী, ঠারেঠোরে সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকিও পাওয়া গিয়েছিল গেরুয়া শিবিরের তরফে।
শুভেন্দু প্রথমে বলছেলিন, ডিসেম্বর মাসেই রাজ্য রাজনীতিতে বড় কিছু ঘটবে। তার পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে বলেছিলেন, ডিসেম্বরে বাংলার সবথেকে বড় ডাকাত ধরা পড়বে। গত সপ্তাহ থেকে রীতিমত তারিখ উল্লেখ করে নজর রাখার কথা বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার পারদ বাড়িয়েছেন।
শুভেন্দুর সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১২, ১৪ এবং ২১- ডিসেম্বরের এই তিন দিন বড় কিছু ঘটার কথা। সেই অনুযায়ী, আজ ১২ ডিসেম্বর।
খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) খাস তালুক হাজরায় আজ আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সভা করতে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে শুধু কলকাতায় (Kolkata) নয়, দিল্লিতেও যাবেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠক রয়েছে তাঁর। হাজরার সভা সেরেই আজ রাতে দিল্লি রওনা দেবেন শুভেন্দু। Suvendu Adhikari
আজ বিকেলবেলা হাজরায় বহুদিন পর একই মঞ্চে থাকবেন সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় নেতাদের বাদ দিয়েই বিজেপির মেগা সমাবেশ।
স্বাভাবিকভাবেই শুধু বিজেপি নয় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নজরেও রয়েছে শুভেন্দুর এই সভা। ফলে প্রত্যাশা মত বিস্ফোরণ না হলে খানিক হতাশ হতে হবে পদ্ম শিবির কে। সেই সঙ্গে জল্পনা, দিল্লির নজরও রয়েছে বিরোধী দলনেতার এই কর্মসূচির দিকে। কারণ, শুধু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার মুখোমুখি হওয়ার কথাও রয়েছে শুভেন্দুর।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বর মাস নিয়ে ক্রমেই জল্পনা বাড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা। গত কয়েকমাস ধরেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ডিসেম্বরে এমন কিছু ঘটবে, যাতে রাজ্য সরকারের ক্ষমতা ধরে রাখাই কঠিন হবে। পরে অবশ্য কিঞ্চিৎ সুর বদল করে শুভেন্দু গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক কাঠামোর ওপর জোর দেন। বলেন, নির্বাচিত সরকারকে ফেলা বিজেপি-র নীতি নয়। তবে নিয়োগ দুর্নীতি সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ শাসক দলকে চাপে ফেলতে ডিসেম্বর নিয়ে নতুন কৌশল নেন তিনি।
রবিবারও নন্দীগ্রামে গিয়ে শুভেন্দু জানিয়েছেন, বিভিন্ন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শাসক দলের বাকি নেতারাও জেলে যাবেন। একই সঙ্গে ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বরের দিকে নজর রাখার পরামর্শও দেন তিনি।