আজ খবর ডেস্ক:
TMC vs BJP পারদ যে চড়বে, সে প্রত্যাশা ছিলই। শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বনাম শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) রাজনৈতিক তরজা কার্যত পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বাজিয়ে দিল রাজ্যে।
আদালতের নির্দেশে কাঁথির প্রভাতকুমার কলেজের মাঠে তৃণমূলের সভা। ঢিলছোড়া দূরত্বে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি, শান্তিকুঞ্জ। আদালতের নির্দেশ ছিল, তৃণমূলের সভার কারণে যাতে শান্তিকুঞ্জ’র শান্তি বিঘ্নিত না হয়। কিন্তু অভিষেকের সংসদীয় এলাকার ডায়মন্ড হারবারে সভা করতে যাওয়ার পথে বেহালায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর হুমকি, ‘‘ভিডিও ক্যামেরায় সব তোলা হচ্ছে। মঙ্গলবার হাই কোর্টে বলব।’’ TMC vs BJP
এদিন দুই নেতার আক্রমণাত্মক বক্তব্যে রাজনীতির ময়দান সরগরম হয়ে উঠলো।
প্রথম সভা শুরু করেছিলেন অভিষেক। বিরোধী দলনেতার বাড়ির পাশের মাঠে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেন, “আজ ২০০ মিটারের মধ্যে সভা করলাম। এর পরের বার ২০ মিটারের মধ্যে সভা করব।”
পাল্টা, ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়িয়ে অভিষেককে নিশানা শুভেন্দুর। বললেন, ‘‘এখানকার সাংসদ সর্বভুক, তিনি কয়লা খান, বালি খান… স্কুলের ইউনিফর্ম খান। ৫০ হাজার চাকরি বেচেছেন।’’
তাঁর বাড়ির পাশে তৃণমূলের সব প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “আগে নেতারা বলতেন ‘কলকাতা চলো’। এখন পিসি-ভাইপো কথায় কথায় বলেন ‘কাঁথি চলো’। আতঙ্কের নাম শুভেন্দু অধিকারী।’’
এমনকী শুভেন্দুর হুশিয়ারি, তাঁর সভায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনিও চাইলে ৩ সেকেন্ডে মারিশদা থেকে কোলাঘাটে কাঠের গুঁড়ি ফেলে অভিষেকের গাড়ি আটকে দিতে পারেন। কিন্তু তাঁরা তা করবেন না। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘এ সব আমাদের সংস্কৃতি নয়।
পাল্টা কাঁথির মাঠে দাঁড়িয়ে “অধিকারী পরিবারকে বিশ্বাস করার মাশুল দিতে হচ্ছে”, বললেন অভিষেক।
ডিসেম্বরে শুভেন্দু নন রাজনৈতিক চমক দেবেন তিনি, জানান অভিষেক। বলেন, “দরজা খুললে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে। তবে আমি ডিসেম্বর মাসে ছোট্ট করে দরজাটা খুলব।”
সেই সঙ্গে শুভেন্দুকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “আমাকে ৪ বছর জেলে রাখলে ওর ৪০ বছর জেল হওয়া উচিত।”
অভিষেকের অভিযোগ, পঞ্চায়েত স্তরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সবথেকে বেশি দুর্নীতি হয়েছে। তিনি প্রকাশ্য সভা মঞ্চে জানান, “১৮০ কোটি টাকার টেন্ডার এক জন পেয়েছে। কোনও কাজ হয়নি।” নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী কে অক্টোপাসের মাথা সম্বোধন করে অভিষেক বলেন, আমার কাছে খবর আছে প্রধান হওয়ার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা, ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছে। এগুলি যদি অক্টোপাসের শুঁড় হয়, অক্টোপাসের মাথাটা ২০০ মিটার দূরে বসে আছে।”
এদিন সভায় যাওয়ার আগে তৃণমূলের অভিষেক হঠাৎই গ্রামের ভেতর ঢুকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। ঘুরে দেখলেন বাড়িঘর। যাওয়ার আগে আশ্বাস দিয়ে যান, ‘‘দেখে গেলাম। যা করার করব।’’