আজ খবর ডেস্ক:
CV Ananda Bose আপডেট: রাজভবনে এদিনের অনুষ্ঠানে থাকছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে “টাকার বিনিময়ে চাকরি” প্রকল্প চলছে। রাজ্য সরকারের শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যর্থতার প্রধান মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুই অভিযোগের সঙ্গে শুভেন্দুর তৃতীয় অভিযোগ, রাজ্যপালের প্রেস সচিব হিসেবে রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করছেন প্রাক্তন সরকারি আমলা নন্দিনী চক্রবর্তী। প্রতিবাদস্বরূপ এদিনের অনুষ্ঠান বয়কট করছেন শুভেন্দু। CV Ananda Bose
The reason why I won’t be attending the হাতে খড়ি “Hatey Khori” event at the Raj Bhavan today:- pic.twitter.com/5yJeQ2JmKP
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) January 26, 2023
এমন দৃশ্য আগে দেখেনি বাংলা। হলফ করে এ কথা বলা যেতেই পারে। এর আগে বাঙালির সরস্বতী পূজোয় (Saraswati Puja) এভাবে রঙে আলপনায় কখনও সেজে ওঠেনি রাজভবন (Raj Bhawan)।
রাজভবন সূত্রে খবর, প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day) উপলক্ষে এদিন বিকেলে প্রথমে চা চক্র আয়োজিত হবে। তারপর হবে সেই বিশেষ অনুষ্ঠান। যা হয়ত শুধু বাংলা নয়, প্রথমবার প্রত্যক্ষ করবে গোটা দেশ। কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল (Governor) হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে সেই রাজ্যের ভাষা শেখার নজির অনেক আছে। তবে তার জন্য হাতে খড়ি, কার্যত নজিরবিহীন।
এদিন বিকেলে রাজ ভবনের ইস্ট লনে এই হাতে খড়ির অনুষ্ঠান হবে বলেই রাজভবন সূত্রে খবর। সবমিলিয়ে শ্রী পঞ্চমীর দিনে কলকাতা সাক্ষী থাকছে এক অভূতপূর্ব ঘটনার। ইতিমধ্যেই রাজভবনের চারিদিকে আলপনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতেই রাজভবনের কর্মীরাই এই আলপনা দিলেন। একই দিনে প্রজাতন্ত্র দিবস ও সরস্বতী পুজো দুই রয়েছে। আর এই দিনেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বাংলা ভাষায় হাতে খড়ি করবেন।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও (Suvendu Adhikari)।
পাশাপাশি সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এদিনের অনুষ্ঠানে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজভবনে বসছে চাঁদের হাট। প্রতিবারই প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন রাজভবনকে বিশেষভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। কিন্তু এবার রাজভবনের এই সেজে ওঠার নেপথ্যে রয়েছে এক অন্য তাৎপর্য। রাজভবনের প্রত্যেক দরজার সামনে দেওয়া হয়েছে আলপনা। রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই সিভি আনন্দ বোস বাংলা ভাষা শেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। বড়দিনে বাংলা বই লেখার ইচ্ছা প্রকাশও করেছিলেন রাজ্যপাল।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্যপাল মন্তব্য করেছিলেন “এই বাংলা হল সোনার বাংলা। এখানে শিল্প,সাহিত্য, সংস্কৃতির অনেক চর্চা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাবুলিওয়ালা গল্প আমি পড়েছি। ছোট্ট মেয়ে মিনির চরিত্রটা আমার মনে দাগ কেটে যায়।” অতীতেও রাজ্যে এসে একাধিক রাজ্যপাল বাংলায় কখনো কথা বলেছেন আবার কখনও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে ভাষণের সূচনা পর্বে বাংলাতে বক্তব্য রেখেছেন। কিন্তু এইভাবে রাজভবনে “হাতেখড়ি”, এই প্রথমবার।