আজ খবর ডেস্ক:
BTech Chawala খাতায় কলমে বি-টেক (BTech) পাশ! কিন্তু তাতে কী? বাজারে চাকরি নেই। তাই নামের পাশে একদিকে যেমন “ইঞ্জিনিয়ার” (Engineer) পরিচিতি রয়েছে, অন্যদিকে রয়েছে বেকারের ট্যাগ ও।
অগত্যা নতুন বছরের শুরুতে রোজগারের খোঁজে কার্যত পথে নামলেন মালদহের (Malda) দুই ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর খান ও রাহুল আলি।


রাজ্যে চাকরির আশায় লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু চাকরি কোথায়? তাই রুটিরুজির খোঁজে চায়ের দোকান শুরুর সিদ্ধান্ত আলমগীর ও রাহুলের। তাঁদের বক্তব্য, একসময় চায়ের দোকানে (Tea Shop) অনেক সময় কাটিয়েছেন দুজনে। ভাল চা বিক্রি করলে মানুষ এমনিই আসবে। সেই সঙ্গে দুই বন্ধু মনে করিয়ে দিচ্ছেন বহু পুরনো সেই আপ্তবাক্য, “কোনও কাজই ছোট নয়”। BTech Chawala

এই অভিনব প্রয়াসের নাম ‘বি.টেক.চা.ওয়ালা’ (BTech Chawala)।
মালদহ জেলার ইংরেজবাজারে স্টেশন রোডে কানি মোড়ে ভাড়া নিয়ে চায়ের দোকান খুলেছেন এই দুই তরুণ। সারিবদ্ধ রেস্তোরা, শাড়ির দোকানের মাঝে জ্বল জ্বল করছে তাঁদের দোকানের নামটা ‘বি-টেক চাওয়ালা’!


চা দোকানের মালিক আলমগীর খান ও রাহুল আলি মালদহের বাসিন্দা। আলমগীর থাকেন কালিয়াচক থানা রোডে ও রাহুল থাকেন ইংরেজবাজার শহরের রেড কলোনিতে। দুজনেই মালদহের গনি খানের (Barkat Gani Khan Chowdhury) নামাঙ্কিত কারিগরি কলেজের ছাত্র।


২০১৭ সালে আলমগীর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ (Mechanical Engineering) সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স করেন। তারপরেই তিনি কলকাতার স্বামী বিবেকানন্দ ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (SVIST) থেকে বি.টেক পাশ করেন। অন্যদিকে রাহুল ২০১৭ সালে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ (Computer Engineering) সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স করেন।

পরিবারে আর্থিক অনটন আগে থেকেই ছিল। আলমগীরের বাবা ঢালাই মেশিন ভাড়া দিয়ে সংসার চালান। পরিবারের সদস্য সংখ্যাও পাঁচ ছাড়িয়েছে। আলমগীর পরিবারের বড় ছেলে। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করলেও চাকরি কোথায় রাজ্যে? ক্যাম্পাসিংয়ে চাকরি মিললেও গুজরাটের (Gujarat) এক সংস্থা পনেরো হাজারের বেশি দিতে রাজি হয়নি। এদিকে চাকরির অপেক্ষায় বসে থাকলে বয়স তো থেমে থাকবে না! তাই চায়ের দোকানের পরিকল্পনা করেন আলমগীর।

এদিকে রাহুল আলির বাবা মনসুর আলি পেশায় ট্যাক্সি চালক। তাই পরিবারের হাল ধরতে চায়ের দোকানের সিদ্ধান্ত নেন তিনিও। এছাড়া দোকানের পাশাপাশি তাঁরা দুজনেই চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা যাচ্ছে। তবে ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমের নজর কেড়েছে দুই বন্ধুর এই উদ্যোগ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *