আজ খবর ডেস্ক:
DGCA New Advisory গত ২৬শে নভেম্বর নিউইয়র্ক-দিল্লি এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে (New York-Delhi Air India Flight), শঙ্কর মিশ্র (Shankar Mishra) তার প্যান্ট খুলে দেন এবং বিজনেস ক্লাসের (Business Class) একজন বয়স্ক মহিলার গায়ে প্রস্রাব (Urine) করেন বলে অভিযোগ।


ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় গোটা দেশে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পর ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস (Lookout Notice) জারি করা হয়েছিল। অবশেষে ঘটনার একমাসের ও বেশি অতিক্রান্ত হওয়ার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। DGCA New Advisory


গ্রেপ্তার হওয়া ছাড়াও নিজের চাকরিটিও হারিয়েছেন ওই ব্যক্তি। মিশ্রের নিয়োগকর্তা আমেরিকান আর্থিক পরিষেবা সংস্থা “ওয়েলস ফার্গো”ও (Wells Fargo) তাকে বরখাস্ত করেছে, অভিযোগগুলি “গভীর বিরক্তিকর” বলে জানিয়েছে। শঙ্কর মিশ্র বহুজাতিক ফার্মের ইন্ডিয়া চ্যাপ্টারের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করতেন, যার সদর দপ্তর ক্যালিফোর্নিয়ায়।

শুক্রবার গভীর রাতে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে গ্রেপ্তার করে দিল্লিতে ফিরিয়ে আনে।
দিল্লি পুলিশ শঙ্কর মিশ্রকে ধরতে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে একটি দল মোতায়েন করেছিল, তার অবস্থান সম্পর্কে কিছু ‘কংক্রিট’ লিড পাওয়ার পরে।
ঘটনার পরেই নিজের ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলেন শঙ্কর। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি অন্তত এক জায়গায়, তার ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডও ব্যবহার করেছিলেন। যেখান থেকে তাঁর লোকেশন পায় পুলিশ।


অভিযোগ,পরে তিনি ওই বয়স্ক ভদ্রমহিলাকে অনুরোধ করেন পুলিশে রিপোর্ট না করতে। সেই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫০০০ টাকা দিতে চান।
সেইসঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শুধুমাত্র পুলিশে একটি ডায়েরি করা ছাড়া আর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এবার আসরে নামল ডিজিসিএ (DGCA)। উড়ানে থাকাকালীন একজন যাত্রীর আচরণ বিধি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হল তাদের তরফে। জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,
১) যেসব যাত্রীর অনুপযুক্ত আচরণ করছেন, প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে ‘রিস্ট্রেনিং ডিভাইস’ (Restraining Device) প্রয়োগ করা যেতে পারে
২) মূলত হাতকড়া বা বেল্ট ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
৩) সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে সবরকম ভাবে বোঝানোর জন্য বলা হয়েছে বিমানকর্মীদের
৪) বিমানের কেবিনে হাতকড়া বা বেল্ট রাখা হতে পারে বলে জানিয়েছে ডিজিসিএ
৫) কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে ‘বেয়াদপ’ যাত্রীকে নিয়ন্ত্রণের জন্য পাইলট-ইন-কম্যান্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাঁর নির্দেশমাফিক কেবিন ক্রু ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

রিস্ট্রেনিং ডিভাইস হিসেবে অনেক দেশেই হাতকড়া বা বেল্টের বদলে ডাক্ট টেপ ব্যবহার করা হয়। কথা না শুনে অভব্য আচরণ করলে যাত্রীকে তাঁর আসনে টেপ দিয়ে বেঁধে বসিয়ে দিতে পারেন বিমানের কেবিন ক্রু। মুখেও টেপ সেঁটে দেওয়া যায়। তবে ভারতে ডাক্ট টেপ ব্যবহার করা হয় না।
বিমান গন্তব্যে অবতরণ করার পর অভিযুক্ত যাত্রীর বিরুদ্ধে অবিলম্বে এফআইআর (FIR) করতে বলা হয়েছে বিমানকর্মীদের। স্থানীয় পুলিশের হাতেও সেই যাত্রীকে তুলে দিতে বলা হয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে মহিলা সহযাত্রীর ওপর প্রস্রাব করার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট উড়ানের পাইলট, কো-পাইলট এবং বিমানকর্মীদের তলব করেছে দিল্লি পুলিশ। শনিবার তাঁরা দিল্লি পুলিশের মুখোমুখি হবেন বলে জানা গিয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *