আজ খবর ডেস্ক:
Indo-China Relation ফের একবার আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ চিনের (China) বিরুদ্ধে। ভারতের উত্তরাখণ্ডের খুব কাছেই চিনের এহেন কীর্তি প্রকাশ্যে আনল উপগ্রহ চিত্র। যা আশঙ্কা তৈরি করেছে ভারতীয় প্রশাসনে। একই সঙ্গে পরিবেশবিদদের আশঙ্কা, যে কান্ড চিন করছে তাতে লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে পরিবেশের ও ব্যাপক ক্ষতি হবে।


লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশে (Arunachal Pradesh) ভারত ও চিনের মধ্যে তৈরি হওয়া সীমান্ত সমস্যা এখনও মেটেনি। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এল প্রকৃত চিন অধিকৃত তিব্বতে (Tibet) ব্রহ্মপুত্র নদ, অর্থাৎ ইয়ারলুং জ্যাংবো এবং গঙ্গার একটি উপনদীতে নির্মীয়মাণ বিশাল জলবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের (Hydel Power Project) উপগ্রহচিত্র।

ইয়ারলুং জ্যাংবোর পাশাপাশি চিন-ভারত-নেপাল ‘ট্রাই জংশনের’ অদূরে মাবজা জাংবো নদীর উপর চিনা বাঁধ নির্মাণের উপগ্রহচিত্রও সম্প্রতি সামনে এসেছে। আমেরিকার (America) ইন্টেল ল্যাবের ভূতত্ত্ব গবেষক ড্যামিয়েন সাইমন ছবিগুলি প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ২০২১ সালের মে মাসে তিব্বতের বুরাং কাউন্টিতে মাবজা জাংবো নদীর উপর চিনা বাঁধ ও জলাধার নির্মাণের প্রমাণ এই সব ছবি। ওই এলাকার অদূরেই উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) রাজ্য। Indo-China Relation

পরিবেশবিদদের মতে চিনের এই পদক্ষেপ চিন্তা বাড়াবে ভারতের। কারণ, ব্রহ্মপুত্র নদের সমতল যাত্রাপথের বেশিরভাগটাই ভারতের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে। ফলে নদীর উচ্চগতিতে পরিবর্তন এলে বা কোনও বাধা তৈরি হলে নিম্নগতির পরিবর্তন হতেই পারে। তাতে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার মানুষ নানা সমস্যায় পড়তে পারেন। ক্ষতি হতে পারে তাঁদের জীবন ও জীবিকার। সেই সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টিও কোনমতেই অগ্রাহ্য করা যায় না।

প্রসঙ্গত, অরুণাচলে প্রবেশের পরে ইয়ারলুং জ্যাংবোর নাম হয়েছে সিয়াং। সেখান থেকে অসমে এসে হয়ে গিয়েছে ব্রহ্মপুত্র।
গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *