আজ খবর ডেস্ক:
Nawsad Siddique বাম-কংগ্রেস জোটের একমাত্র বিধায়ক তিনি। শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Nawsad Siddique)। গতকাল অর্থাৎ রবিবার আদালতে তোলা হলে জামিনের আর্জি নাকচ করেন বিচারপতি। এর মধ্যেই এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা আরাবুল ইসলামের (Arabul Islam) বাড়ির অদূরে মিলেছিল বেশ কিছু তাজা বোমা।

স্বাভাবিক ভাবেই রীতিমত থমথমে ভাঙড়ের (Bhangar) পরিস্থিতি। এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছে ভাঙড়, কাশীপুর এবং কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। একাধিক জায়গায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। রবিবার রাতেও তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসান বলেন, ‘‘নতুন করে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে এলাকায় পুলিশ পিকেট থাকবে। বিভিন্ন জায়গায় টহলদারিও চালাবে পুলিশ।’’ Nawsad Siddique

এদিকে দলের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ মোট ১৯ জন নেতাকর্মী এখনও পুলিশ হেফাজতে। দলের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঠিক করতে তাই সোমবার হুগলির (Hooghly) জাঙ্গিপাড়ার ফুরফুরা শরিফে বৈঠকে বসতে চলেছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর নেতারা। সেই বৈঠকের দিকেই আপাতত তাকিয়ে নওশাদের নির্বাচনী কেন্দ্র ভাঙড়ের আইএসএফ সমর্থকরা। এদিকে একই দিনে আবার আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে বৈঠকে বসছেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতারাও।

গত শনিবার ছিল আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠা দিবস। এই উপলক্ষে নওশাদ সিদ্দিকির বিধানসভা এলাকা ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গায় পতাকা লাগাচ্ছিলেন আইএসএফ কর্মীরা। ভাঙড়ের হাতিশালায় দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয় তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে। একে-অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলে দুপক্ষই। প্রতিবাদে বিক্ষোভে বসে আইএসএফ। ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে গ্রেপ্তার হন নওশাদ সহ ১৮ জন। আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবারের ঘটনায় এক নাবালককেও গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। রবিবার তার জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। আগামী ২৪শে জানুয়ারি জুভেনাইল কোর্টে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে।

সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ ফুরফুরা শরিফে বৈঠক শুরু হবার কথা। ভাঙড়ের আইএসএফ নেতা রায়নুল হক জানিয়েছেন, দলের এক মাত্র বিধায়ক-সহ দলের অনেক নেতাকর্মী এখন পুলিশ হেফাজতে। এই ঘটনার পর আইএসএফের রাজ্য নেতারা কী বার্তা দেবেন কর্মী এবং সমর্থকদের, সে দিকে তাকিয়ে সকলে।
এদিকে সোমবার বৈঠকে বসছেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতারাও। এ কথা জানিয়েছেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল। তাঁর দাবি, ‘‘এলাকা আপাতত শান্তিপূর্ণ।’’

এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে দলের নেতা, পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং কর্মাধ্যক্ষদের নিয়ে ওই বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আরাবুল। এ ছাড়া আগামী ২৫শে জানুয়ারি প্রতিবাদ মিছিলের ডাকও দিয়েছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের ওপর একটি অংশ ২১ এর নির্বাচনে ভাঙড় থেকে দাঁড়ানো তৃণমূল প্রার্থী চিকিৎসক ডা. রেজাউল করিমের পাশে রয়েছেন, তাঁরা আরাবুল বিরোধী। এমন দাবিও উঠছে স্থানীয় সূত্রে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *