আজ খবর ডেস্ক:
KMC Initiative শহরের মানুষের কাছে বেহালা (Behala) মানেই যেন “দাদার বাড়ি”! আর এমনটাও নয় যে তিনি শুধু আমার বা আপনার দাদা, দেশ ও দুনিয়ার কাছে বাংলার দাদা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। কিন্তু হঠাৎ কী এমন ঘটলো যে কলকাতা পুরসভার (KMC) কাউন্সিলর দলবল নিয়ে সৌরভের বাড়িতে পৌঁছলেন? সকাল সকাল, তাও আবার হাতে একজোড়া বালতি। KMC Initiative


এ কথা অবশ্য ঠিক যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দেখতে হাসপাতালে ছোটেন খোদ কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বারবার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও (Manata Banerjee)।

শুক্রবার সকালে বেহালার বীরেন রায় রোডে সৌরভের বাড়িতে বালতি নিয়ে হাজির হলেন কলকাতা পুরসভার ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুদীপ পোল্লে। ঘটনায় সৌরভের বাড়ির সদস্যরাও তাজ্জব হয়ে যান।

আসলে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডকে সুন্দর, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রতিটি বাড়ি থেকে ময়লা–আবর্জনা সংগ্রহের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দু’‌ধরনের বালতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবুজ বালতি এবং নীল বালতি। সবুজ বালতিতে ফেলতে হবে পচনশীল দ্রব্য (Perishable Item)। আর নীল বালতিতে ফেলতে হবে প্লাস্টিকজাত দ্রব্য (Plastic Item)। এই বালতিই পৌঁছে দেওয়া হয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team) প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতেও।

যদিও বেহালার বাড়িতে সৌরভ এখন আর নিয়মিত থাকেন না। তাঁর নতুন আবাস মধ্য কলকাতায়। তবে পরিবারের বাকি সদস্যরা পুরনো বাড়িতেই থাকেন। কলকাতা পুরসভা থেকে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এই নীল-সবুজ বালতি। পুরকর্মীরাই সকালে সেই বালতি থেকে ময়লা–আবর্জনা (Garbage) সংগ্রহের কাজ করবেন। এই উদ্যোগ নিয়েই শুক্রবার সৌরভের বাড়িতে দু’‌হাতে বালতি নিয়ে হাজির হন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। সঙ্গে ছিলেন কাউন্সিলর। সব মিলিয়ে মোট ১২টি বালতি দেওয়া হয় সৌরভের বাড়িতে। কোন বালতিতে কোন ধরনের ময়লা ফেলতে হবে সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

এই প্রসঙ্গে ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর সুদীপ পোল্লে জানান, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হলেন একজন আইকন। তাঁর বাড়িতে আবর্জনা ফেলার এই বন্দোবস্ত দেখলে সাধারণ মানুষও উৎসাহিত হবেন। তাই এই উদ্যোগ। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘”শহরের রাস্তাঘাট থেকে বাড়ি—সর্বত্র যাতে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকে তার জন্যই মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই এলাকার মানুষদের বালতি দেওয়া হচ্ছে।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *