আজ খবর ডেস্ক:
Mamata Banerjee সামনে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। তার আগে রাজ্যের মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষার বার্তা নিয়ে এল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। “দিদিকে বলো” এখন অতীত, নয়া স্লোগান “দিদির সুরক্ষা কবচ” (Didir Suraksha Kavach)।
আগামী ১১ই জানুয়ারি থেকে “দিদির সুরক্ষা কবচ” প্রকল্প নিয়ে মাঠে নামছে তৃণমূল। সোমবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ঘোষণা করেন, “দিদির সুরক্ষা কবচ” কর্মসূচির অন্তর্গত তৃণমূলের ৩.৫ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবক রাজ্যের মানুষের বাড়িতে যাবেন। কথা বলবেন মানুষের সঙ্গে। জানাবেন সরকারি প্রকল্পের খুঁটিনাটি। Mamata Banerjee
এই কর্মসূচি চলবে দু’মাস। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এভাবেই জনসংযোগে নেমে পড়ছে রাজ্যের শাসকদল।

এদিন তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনের মঞ্চেই ঘোষণা হল “দিদির সুরক্ষা কবচ” কর্মসূচির। সেই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে পুরোদস্তুর জনসংযোগে নেমে পড়ছে তৃণমূল। এই কর্মসূচিতে তৃণমূলের সাড়ে ৩ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবক ‘দিদির দূত’ হয়ে রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছবেন। মানুষকে জানাবেন মমতা সরকারের ১৫টি ‘ফ্ল্যাগশিপ’ (Flagship Project) প্রকল্পের খুঁটিনাটি। এ বিষয়ে আমজনতার যেকোনও পরামর্শ ও তা নথিভুক্ত করে নেবেন “দিদির দূত”রা। তার পর অ্যাপের মাধ্যমে তা চলে আসবে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে।
এমনকী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রয়োজনে জেলার জেলায় গ্রামের মানুষের বাড়ি বাড়ি রাত কাটাবেন তৃণমূল নেতারা। ঠিক হয়েছে, আগামী দু’মাসে মোট ২০ দিন বিভিন্ন পর্যায়ে দল এই কর্মসূচি পালন করবে।

সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি ফের মানুষকে মনে করিয়ে দিয়ে জানতে চাওয়া হবে কোনও সুবিধা থেকে তারা কেউ বঞ্চিত কিনা। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েতের সদস্য, দলের স্থানীয় নেতৃত্ব সম্পর্কে স্থানীয়দের বক্তব্য শুনবেন নেতারা। এ জন্য এলাকাভিত্তিক টিম সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের কথা শুনে একটি ফর্ম পূরণ করবেন।

এদিন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছেন, একটি ধানে পোকা থাকলে পুরো ধান ফেলে দেওয়া যায় না। অর্থাৎ ২০২২ স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) নিয়ে যে ভাবে রাজ্যজুড়ে বিরোধী দলগুলো প্রচার চালিয়েছে তাকেই আক্রমণ করতে চেয়েছেন মমতা, এটা পরিষ্কার।
প্রসঙ্গত মনে করিয়ে দেওয়া যেতে পারে, সাম্প্রতিক অতীতে ভোট কুশলী পিকে’র (Prashant Kishor) টিম এই কাজ করেছে। কিন্তু এবার সেই ভূমিকায় দলকেই নামাতে চান মমতা-অভিষেক। সেক্ষেত্রে বনগাঁর নেতাকে বারাসত, বারাসতের কর্মীদের বসিরহাটে পাঠাতে পারে দল।

তৃণমূল সূত্রে খবর, ‘জয় বাংলা’, ‘ঐক্যশ্রী’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘যুবশ্রী’, ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’, ‘খাদ্যসাথী’, ‘কন্যাশ্রী’-র মত রাজ্য সরকারের ১৫টি ‘ফ্ল্যাগশিপ’ প্রকল্প নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছবেন। তার আগে ৩০০ জন রাজ্যস্তরের তৃণমূল নেতা ১০ দিন করে গ্রামে রাত্রিযাপন করবেন। রাত্রিবাস শেষে সেই বাড়িতেই পৌঁছবে দিদির দূতেরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *