আজ খবর ডেস্ক:
Men’s Health দিনভর চারপাশে শুধুই মহিলাদের রূপচর্চা আর ফিট থাকার টিপস দেওয়া হয়। পুরুষ বলে কি সুস্থ থাকার, হেলদি লাইফস্টাইলের টিপস পাওয়ার অধিকার নেই?
অথচ কাজের চাপ থেকে সাংসারিক চাপের অনেকটাই পুরুষদের ঘাড়ে চাপে। ফলে পুরুষরা তাঁদের খাদ্য নিয়ে অবহেলা করেন। একটু বয়স বাড়লে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য নূন্যতম যে কাজগুলো করা দরকার সেটাও করে উঠতে পারেন না।
তাই নতুন বছরে ফিট এবং সুস্থ থাকার জন্য পুরুষদের ভাল খাদ্যাভ্যাসগুলি বিবেচনা করা উচিত। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং ভাল অভ্যাস না মেনে চলা স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে।

এখানে পুরুষদের জন্য রইল বিশেষ কয়েকটি টিপস (Men’s Healthy Lifestyle Tips):

১) ভেজানো বাদাম দিয়ে শুরু হোক দিন:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারা দিন সঠিকভাবে চলার জন্য ভেজানো বাদাম দিয়ে দিন শুরু করা জরুরি। কারণ কাজ করার জন্য সকাল সকাল শরীরের শক্তি বৃদ্ধির প্রয়োজন। যদি এক কাপ গরম কফি (Hot Coffee) দিয়ে দিন শুরু করার অভ্যাস থাকে, তবে এটি পরিবর্তন করার সময় এসেছে। ভেজানো বাদাম (Soaked Nuts) এবং শুকনো ফল (Dry Fruits) যেমন বাদাম, কিসমিস, আখরোট হল ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, জিঙ্ক এবং আয়রনের ভাণ্ডার। এক মুঠো বাদাম সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে হবে। Men’s Health

২) স্বাস্থ্যকর খাবার/ স্যালাড:
শরীরের সুস্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারই ভাল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাজা খাবারের পরিবর্তে মুরগি, ডিম বা মাছের স্যালাড খাওয়া বেশি কাজে দেয়। এতে শুধু প্রোটিন নয়, পালং শাক, লেটুস এবং ব্রকোলি মতো সবুজ শাকসবজি থাকলে অতিরিক্ত উপকারিতা যোগ হয়। শুধু পছন্দের শাকসবজি বা মাংস অনুযায়ী মধ্যাহ্নভোজের স্যালাড বানিয়ে খান। সবার আগে ভুঁড়ি কমবে।

৩) ডিটক্স ড্রিঙ্ক :
এগুলির স্বাদ যেমন দুর্দান্ত, তেমনই এর একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। কয়েক টুকরো লেবু, কমলা, আপেল এবং শসা কেটে কাচের পাত্রে রাখতে হবে। এবার সারাদিন নিজের সঙ্গে বোতলটি বহন করতে হবে। আর মাঝে মাঝে চুমুক দিতে হবে এই স্বাস্থ্যকর পানীয়তে। একটু বাড়তি কিছু পাওয়ার লোভে পুদিনা বা তুলসীর কয়েকটি পাতা যোগ করা যেতে পরে। এই পানীয় শরীর থেকে টক্সিন অপসারণ করতে সাহায্য করে, ওজনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৪) ফল হোক স্ন্যাকস
দুটি মিলের (Meal) মাঝে কিছু ফল খেয়ে নিতে পারলে হালকা খাবারকে সহজেই স্বাস্থ্যকর করে তোলা যেতে পরে। আপেল, পেয়ারা, অ্যাভোকাডো মধ্যাহ্নের স্ন্যাক হিসাবে দুর্দান্ত কাজ করে। এগুলো পেট ভরানোর সঙ্গে সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা সিঙাড়া খাওয়ার লোভকে থামিয়ে দেবে।

৫) স্মুদি:
তাজা সবুজ শাকসবজি এবং ফল দিয়ে নিজের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর স্মুদি তৈরি করে ফেলা যায়। আর তাতে শরীর সতেজ থাকবে এবং মনও উজ্জীবিত বোধ করবে। এছাড়া স্মুদি অনেক সময় ব্রেকফাস্টের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পরে। সময় কম থাকলে, কলা, শসা, অ্যাভোকাডো বা পছন্দের যে কোনও ফল বা সবজি দিয়ে একটি স্মুদি তৈরি করা যেতে পরে। তাই, সকালের খাবার এড়িয়ে না গিয়ে, ব্রেকফাস্ট হিসেবে স্মুদি খাওয়ার অভ্যাসটি তৈরি করে নেওয়ায় যায়।

৬) হাল্কা ডিনার:
রাতের খাবারের সময় যতটা সম্ভব প্রক্রিয়াজাত খাবার কমানোর চেষ্টা করতে হবে। কারণ এতে উচ্চ মাত্রার চিনি এবং প্রিজারভেটিভ থাকে। রাতে হালকা খাবার তৈরি করা শুরু করতে পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। যেমন খিচুড়ি, মুসুর ডালের স্যুপ, সঙ্গে একটা সবজি অথবা মুরগির স্ট্যুর (Chicken Stew) সঙ্গে সাধারণ হাত রুটি। এই খাবারগুলি প্রোটিন এবং ফাইবারের ভাল উৎস, পাশাপাশি পেটের জন্য হালকা এবং রান্না করাও সহজ।

৭) হার্বাল চা:
ভেষজ চা শরীরের জন্য দুর্দান্ত উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। যেহেতু অত্যধিক ক্যাফিন ঘুমের ব্যাহত করতে পারে, তাই হার্বাল বা ভেষজ চা সবসময় একটা স্বাস্থ্যকর বিকল্প। আদা চা, ক্যামোমাইল চা, পেপারমিন্ট চা এবং লেমনগ্রাস চা হল কিছু দুর্দান্ত পানীয়, কারণ এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, স্ট্রেস থেকে মুক্তি দিতে, সর্বোপরি ঘুমের ক্ষেত্রে সাহায্য করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *