আজ খবর ডেস্ক:
Modi Documentary আগেই দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বিবিসি’র (BBC) তৈরি তথ্যচিত্র (Documentary)। কিন্তু সেই নির্দেশকে অগ্রাহ্য করে দেশ জুড়ে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বিবিসির সেই বিতর্কিত ডকুমেন্টারি দেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে সিপিএমের (CPIM) ছাত্র সংগঠন এসএফআই (SFI)। দিল্লি (Delhi), কেরালা’র (Kerala) পর কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিজদ্যালয়েও (Presidency University) গুজরাট দাঙ্গার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এই তথ্যচিত্র দেখানো হবে। Modi Documentary
আগামী ২৭শে জানুয়ারি বিকেল ৪টের সময় ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তৈরি ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’ (India:The Modi Questions) দেখানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছে তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাডমিন্টন কোর্ট বুক করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি ইমেল পাঠানো হয়েছে। সেখানেই ডকুমেন্টারিটি একটি বিশাল স্ক্রিনে দেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গুজরাট দাঙ্গা (Gujarat Riot) নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (MIB) নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইউটিউব ও টুইটার কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই ডকুমেন্টারি সংক্রান্ত যাবতীয় লিঙ্ক মুছে দেওয়ার জন্য।
তারপরও সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই (DYFI) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশজুড়ে ওই তথ্যচিত্র দেখানোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। এসএফআইয়ের রাজ্য কমিটির সদস্য এবং প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তনী শুভজিৎ সরকার aajkhobor.com কে জানান, “সাধারণত বিজেপি বিরোধী কিছু করলে বা বললেই আমরা দেখেছি তৃণমূলের গায়ে খোঁচা লাগে। তাই প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ অথবা স্থানীয়ভাবে ওরা আমাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতেই পারে। আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা রেডি আছে। এই ডকুমেন্টারি আমরা দেখাবোই। গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে কোনও আপোষ আমরা করব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও এই নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে।”
বিবিসি যদিও তথ্যচিত্রটি ভারতে রিলিজ করেনি। বিবিসি টু চ্যানেলে সেটি ইউরোপ, আমেরিকা সহ বিশ্বের বহু জায়গায় রিলিজ করেছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার গত রবিবার তথ্য প্রযুক্তি আইনের ধারা উল্লেখ করে, ভারতের ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে ওই তথ্যচিত্রের সমস্ত লিঙ্ক শোনানোর নির্দেশ দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে মঙ্গলবার দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) বাম ছাত্র সংগঠন পরিচালিত ছাত্র সংসদ এই তথ্যচিত্রের স্ক্রিনিং আয়োজন করেছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এভিবিপি (ABVP) সদস্যরা পাথর ছোড়ে বলেও অভিযোগ। যদিও পাথর ছোড়ার অভিযোগ অস্বীকার করে দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লি) মনোজ সি দাবি করেন, ক্যাম্পাসে পাথর ছোড়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি।
দক্ষিণ ভারতের কেরালায় ও এই তথ্যচিত্র নিয়ে ধুন্ধুমার বেঁধেছিল মঙ্গলবার।
কেরলের রাজধানী তিরুঅনন্তপুরমে এই তথ্যচিত্র দেখানোর জন্য পৃথক ভাবে উদ্যোগ নিয়েছিল বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই এবং কংগ্রেস। তবে এই তথ্যচিত্র যাতে দেখানো না হয় তার জন্য ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। এমনকী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তাতে গোটা এলাকায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। শুক্রবার শেষ পর্যন্ত কী হবে সেদিকে নজর রাখছে সব মহল।