আজ খবর ডেস্ক:
World Population Review বলা হয়, “সিন্ধু” শব্দ থেকেই “হিন্দু” শব্দের উৎপত্তি। আদতে “ভারত” নামের বহু আগে থেকেই চলে আসছে এই সভ্যতার ধারা।
ভারতের (India) ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি নিয়ে পৃথিবীজুড়ে চর্চা চলে। আর এবার সামনে এসেছে এক চমকপ্রদ তথ্য। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ (World Population Review)-এর এর সর্বশেষ তালিকায় জানানো হয়েছে, পৃথিবীর প্রাচীনতম ১০ সভ্যতার কথা। ভারতে প্রাচীনতম সরকারের প্রমাণ মিলেছে খ্রিস্টপূর্বাব্দ ২০০০ সালের সময়।
স্বাভাবিকভাবেই নিশ্চয়ই আপনাদের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে, এই তালিকায় ভারতের স্থান ঠিক কোথায়! পুরো তালিকায় আপনাদের সামনে তুলে ধরবো আমরা। তবে তার আগে জেনে নেওয়া যাক আরও কিছু খুঁটিনাটি তথ্য। World Population Review

মানব সভ্যতার নিরিখে বরাবর দেখা গিয়েছে পশ্চিমের দেশগুলো নিজেদের অনেক বেশি আধুনিক বলে দাবি করে।
স্বাধীনতা পূর্ব ভারতীয় রীতিনীতি এবং সংস্কৃতির দিকে বহুবার বর্বরতার অভিযোগ উঠেছে। তা সতীদাহ (Sati) হোক অথবা বাল্যবিবাহ (Child Marriage)। অথচ ইতিহাস বলছে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই এই বিষয়গুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উঠে এসেছে ভারতীয়দের হাত ধরেই। ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে নাম লেখা রয়েছে রাজা রামমোহন রায় থেকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের।
যাইহোক, এবার আসা যাক নতুন সেই তালিকার কথায়। পৃথিবীর প্রাচীনতম দেশের তকমা জুড়েছে ইরানের (Iran)। জানানো হয়েছে সেখানে ৩,২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রথমবারের মত সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

আসলে ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ একটি তালিকা তৈরি করেছে বিশ্বের প্রাচীনতম সরকারের ওপর। সেখানে ভারত রয়েছে ৭ম স্থানে!
তালিকায় ভারত ছাড়াও, সাথে ইরান, চিন সহ বহু দেশের নাম রয়েছে। দেখে নিন তালিকা।
১) প্রথম স্থান ইরানের (৩,২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)
২) মিশর, অর্থাৎ ইজিপ্ট রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে (৩১০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)
৩) ভিয়েতনাম (২৮৭৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)।
৪) আর্মেনিয়া (২৪৯২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)।
৫) উত্তর কোরিয়া (২৩৩৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)।
৬) চিন (২০৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)।
৭) ভারত (২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)
৮) জর্জিয়া (১৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ),
৯)ইজরায়েল (১৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)
১০) সুদান (১০৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)

সেইসঙ্গে স্ব-সার্বভৌমত্বের (Self Sovereignty) ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে অপর একটি তালিকা। সেখানে প্রথমে রয়েছে জাপান ৬৬০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ), দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চিন (২২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ), তৃতীয় স্থানে সান ম্যারিনো (৩০১ খ্রিস্টাব্দ), চতুর্থ স্থানে ফ্রান্স (৮৪৩ খ্রিস্টাব্দ), পঞ্চম স্থানে অস্ট্রিয়া (৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ)।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *