আজ খবর ডেস্ক:
সিনেমার পর্দায় গরীব ঘরের মেয়ে বা বউ হিসেবে অভিনয় করে বহু প্রশংসা কুড়িয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের একটি বাড়িতে দলীয় কর্মসূচি সারতে গিয়ে খাবার পাত থেকে উঠে গেলেন সাংসদ অভিনেত্রী শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। আর এতেই তুমুল বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন প্রাক্তন নায়িকা।


রাজ্যজুড়ে চলছে তৃণমূলের দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kavach) কর্মসূচি। শুক্রবার রামপুরহাটের মাড়গ্রামে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষ। শতাব্দীও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেন।


পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘অনেকেরই অভিযোগ, তাঁরা আবাস যোজনার বাড়ি, বার্ধক্যভাতা পাননি। দুয়ারে সরকারের সুবিধাও কেউ কেউ পাননি বলে জানালেন। তাঁদের কথা শুনেছি। সকলের যেমন হয়েছে, ওঁদেরও হবে। সকলেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।’’ সেই ঘটনার পরেই ভোজন-বিতর্কে জড়ালেন
সাংসদ।

এলাকার সাংসদের সঙ্গে পাত পেড়ে খেতে বসেছিলেন দলীয় কর্মীরা (TMC Workers)। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির পর তাঁদের সঙ্গে বসে মধ্যাহ্নভোজন করার কথা ছিল বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের। দলের কর্মী-সমর্থকদের পাশে খেতে বসেওছিলেন বীরভূমের সাংসদ। কিন্তু শালপাতার থালায় দেওয়া মাংস-ভাত মোটেও ছুঁয়ে দেখলেন না তিনি। খেতে বসার ফটোসেশন সেরেই উঠে পড়লেন! তাতে পড়ে রইল না খাওয়া মাংস আর ভাত।

বস্তুত, ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’এর অন্তর্গত এই নির্দিষ্ট কর্মসূচি। যেখানে দল থেকেই বলে দেওয়া হয়েছে গ্রামের কোন একটি বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজ সারতে হবে দলের জনপ্রতিনিধিদের। দলের নির্দেশ মেনে বিষ্ণুপুর এলাকার তেঁতুলিয়া গ্রামে দলীয় এক কর্মীর বাড়ির উঠোনে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, এঁচোড়ের তরকারি, খাসির মাংস, মাছ। সেখানে শতাব্দীও আমন্ত্রিত ছিলেন। কর্মসূচির পর সেখানেই যান তৃণমূল সাংসদ। প্রকাশ্যে আসা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দলীয় কর্মীদের অনুরোধে খেতে বসেছিলেন শতাব্দী। সাংসদকেও শালপাতার থালায় সব পদই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিজের আসনে বসে দু-একটি ছবি তোলার পরেই না-খেয়ে তিনি উঠে পড়েন।

এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমত ভাইরাল হয়েছে। সেইসঙ্গে বিতর্ক শুরু হয়েছে পুরোদমে। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে উঠোনে বসে না খেলেও ওই কর্মীর বাড়ির ভিতরে গিয়ে খাওয়াদাওয়া করেছেন সাংসদ। মধ্যাহ্নভোজনের সময় সেখানে উপস্থিত থাকা স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘অনেকেই ভেবেছিলেন, শতাব্দীদি হয়তো তাঁদের পাশে বসেই খাওয়াদাওয়া করবেন। কিন্তু সারা দিন গ্রামেগঞ্জে ঘুরে সকলেই ক্লান্ত ছিলেন। দিদিও তাই। হয়তো সেই কারণেই বাড়ির ভিতরে বসে খেয়েছেন উনি।’’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *