আজ খবর ডেস্ক:
বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়লো শিয়ালদাগামী রাজধানী এক্সপ্রেস (Rajdhani Express)। শুক্রবার বিকেলে মোগলসরাই থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে একটি ক্রেনে সজোরে ধাক্কা মারে ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে থাকা এই ট্রেনটি। ধাক্কার অভিঘাতে ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আশপাশের বিদ্যুতের পোল উপড়ে যায়। শুধু তাই নয়, জেসিভি-র লম্বা হাতার মত অংশ ট্রেনের অনেকটা অংশে বিকট শব্দে ঘষতে ঘষতে চলতে থাকে।
ট্রেন যাত্রীরা জানাচ্ছেন, এত বিকট শব্দ হয় যে তাঁরা অনেকেই রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ইঞ্জিন ও সম্ভবত বিকল হয়ে গিয়েছে। অন্তত এমনটাই আশঙ্কা রেল কর্তৃপক্ষের। সন্ধে সওয়া ছ’টার খবর, শিয়ালদহগামী রাজধানী এক্সপ্রেসটি দাঁড়িয়ে রয়েছে দিল্লি (Delhi) থেকে মোগলসরাইয়ে ঢোকার ৫০ কিলোমিটার দূরে।

জানা গিয়েছে, রেল লাইনের ধারে রেলেরই নির্মাণ কাজ চলছিল। সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছিল একটি বুম ক্রেন। তারই একটি অংশ লাইনের দিকে ঢুকেছিল। ঝড়ের গতিতে আসতে থাকা ট্রেনটি ধাক্কা মারে সেই ক্রেনে।
এরপরে ইঞ্জিনটি ঘষটে ঘষটে কিছুটা এগিয়ে যায়। ইঞ্জিনের সামনের অংশে ক্রেনের একটি লোহার বিম ঢুকে যায়। সেটি ধাক্কা লাগতে লাগতে এগোয় ইঞ্জিনের সঙ্গে। একের পর এক পোল ভাঙতে থাকে। জানা গিয়েছে, একাধিক বগিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

ট্রেনটি এমনিতেই ১৬ ঘন্টা দেরিতে চলছিল।
কলকাতাগামী যাত্রীদের কীভাবে কলকাতায় (Kolkata) ফেরানো হবে, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যে তৎপরতা শুরু করেছে রেল দপ্তর।

মোগলসরাই ডিভিশনের সূত্রে খবর, যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আহত যাত্রীদের চিকিৎসা চলছে।
রেলের এক অফিসার জানান, কারণ, চালক যদি তৎক্ষণাৎ ব্রেক কষে ফেলতেন তাহলে ইঞ্জিন সহ ট্রেনের কয়েকটা বগি লাইনচ্যূত হয়ে যেতে পারত। কিন্তু বিপদের মুখে পড়েও তিনি ভাল সামাল দিয়েছেন পরিস্থিতি।

এদিনের দুর্ঘটনায় যাত্রীদের কেউ সেভাবে জখম হননি বলে খবর। কিন্তু তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে তাঁদের মধ্যে। সূত্রের খবর, ওই ইঞ্জিনটি বিকল হয়ে পড়ায় মোগলসরাই থেকে নতুন ইঞ্জিন আনার তোড়জোড় শুরু করেছে রেল। যতক্ষণ না তা আসছে ততক্ষণ ওই জায়গায় থমকে থাকতে হবে যাত্রীদের। সব মিলিয়ে ২০-২২ ঘণ্টার কাছাকাছি দেরিতে শিয়ালদহ পৌঁছবে ট্রেন।


কার গাফিলতিতে এই দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে রেল মন্ত্রক। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী সহ রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *