আজ খবর ডেস্ক:
Suvendu Adhikari ২০২১ বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এক সময় তৃণমূলে থাকা শুভেন্দুর, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ভোটে হারানো নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে।
এদিন আরেক বোমা ফাটালেন বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। Suvendu Adhikari
নন্দীগ্রামের ভাঙ্গাবেড়া’তে শহীদ স্মরণ দিবস কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২০০৮ সালের ৭ই জানুয়ারি থেকে নন্দীগ্রামের একনম্বর ব্লকের সোনাচূরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙাবেড়ায় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকেন শুভেন্দু।
এদিন নন্দীগ্রামে (Nandigram) দাঁড়িয়ে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, তাঁকে ভোটে জিততে সাহায্য করেছেন ‘বামপন্থী হিন্দুরা।’

নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসেও তরজায় জড়িয়েছে তৃণমূল (TMC) এবং বিজেপি (BJP)। তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করে এদিন শুভেন্দু বলেন, “এদের (তৃণমূলের) থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল সিপিআইএম (CPIM) তথা বামফ্রন্ট। বামপন্থীরা সবাই খারাপ নন। আমাদের সঙ্গে প্রচুর বামপন্থী মানুষ রয়েছেন। নন্দীগ্রামে একটা বড় অংশ যাঁরা হিন্দু, তাঁরা ভোট দিয়েছেন বলে আমি জিতেছি। আমি তা অকপটে স্বীকার করি।’’
বঙ্গের রাজনৈতিক মহল বলে থাকে, সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রাম আন্দোলনের উপর ভর করে তদানীন্তন বাম সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ২০১১ সালে রাজ্যের ক্ষমতায় বসেছিল তৃণমূল। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে জয়ী শুভেন্দু সেই নন্দীগ্রামের শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান থেকে কার্যত ‘স্বীকার’ করে নিলেন, তিনি জিতেছেন ‘বামপন্থী হিন্দুদের’ জন্য।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘ সময় নন্দীগ্রামে শক্ত ঘাঁটি ছিল বামেদের। তবে সিপিএম নয়, এখানে টানা জয়ী হয়েছেন সিপিআই প্রার্থী। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর দ্বৈরথে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী করেছিল সিপিএমের নবীন মুখ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে (Minakshi Mukherjee)। বাম-কংগ্রেস জোট ভোট পেয়েছিল সামান্যই।
ওই ভোটের গণনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে যায় তৃণমূল। সেই মামলা এখনও চলছে।

নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারের সময়ও শুভেন্দু বামপন্থীদের আবেদন করেছেন বিজেপিকে ভোট দিতে। তাঁর ব্যাখ্যা ছিল, তৃণমূল জয়লাভ করলে কোনও বিরোধী শক্তিকেই মাথা তুলে দাঁড়াতে দেবে না। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে ‘শক্তিশালী’ বিজেপিকে ভোট দিন বামপন্থীরা। শনিবার শহিদ দিবস নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির দড়ি টানাটানিতে বামেদের ‘ধন্যবাদ’ জানালেন বিজেপি বিধায়ক। যা রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ সম্প্রতি শুভেন্দুর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে একাধিক সমবায় নির্বাচনে বাম-বিজেপি’র “জোট” ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *