আজ খবর ডেস্ক:
Wife Silicon Statue নিজের ভালোবাসাকে অমর করে রাখার চেষ্টা! ইতিহাস বলছে, মানুষের মধ্যে এই প্রবণতা এসেছিল সেই শাহজাহানের হাত ধরে। হয়ত আমাদের অনেকেরই সাধ থাকে, কিন্তু সাধ্যে কুলোয় না।
কিন্তু কইখালির তাপস সান্ডিল্য তাঁর স্ত্রী ইন্দ্রানীর একটি সিলিকন মূর্তি তৈরি করতে পেরেছেন। ২০২১ সালে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের (Covid Second Wave) সময় প্রাণ হারান ইন্দ্রানী। Wife Silicon Statue

নরেন্দ্র মোদি এবং অমিতাভ বচ্চনের মোমের মূর্তি

২.৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত, মূর্তিটি আশ্চর্যজনকভাবে প্রাণবন্ত। দম্পতির ভিআইপি রোডের বাড়িতে ইন্দ্রানীর প্রিয় জায়গায়, একটি সোফায় বসানো রয়েছে মূর্তিটি।
কৌতূহলী প্রতিবেশীদের অনেকেই, এমনকী এলাকার বাইরে থেকেও মাঝেমাঝে দর্শকরা দেখতে আসেন এই সিলিকন মূর্তি (Silicon Statue)।
৬৫ বছর বয়সী তাপস সান্ডিল্য একজন অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারী। নিতান্ত মধ্যবিত্ত, মূলত বাঙালি পাড়ায় এখন তিনি একটি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছেন।

যদিও তাপসের বক্তব্য, তিনি কেবল তাঁর স্ত্রীর ইচ্ছা পূরণ করছেন। তিনি জানান, প্রায় এক দশক আগে মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে গিয়েছিলেন এই দম্পতি। সেখানে ভক্তিবেদান্ত স্বামীর প্রাণবন্ত মূর্তি অবাক করেছিল দুজনকেই। তখনই তাঁর স্ত্রী ইন্দ্রাণী তাঁকে বলেছিলেন নিজের ইচ্ছের কথা।
ইন্দ্রানী চেয়েছিলেন যদি স্বামীর আগে তাঁর মৃত্যু হয়, তাহলে তাপস যেন এমন একটি মূর্তি বানান। প্রাথমিকভাবে পরিবারের তরফেও আপত্তি উঠেছিল বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তাপস।

ইন্দ্রাণীর মৃত্যুর কয়েক মাস পর তাপস ইন্টারনেটে এমন একজনের সন্ধান শুরু করেন, যিনি তাঁর স্বপ্নকে সত্যি করতে পারেন। অবশেষে ২০২২-এর শুরুতে ভাস্কর সুবিমল দাসের খোঁজ মেলে। মূলত যাদুঘরের জন্য সিলিকন প্রতিলিপি তৈরি করেন সুবিমল। শিল্পীর কাছে মেয়েটি ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ। মূর্তির জন্য একটি বাস্তবসম্মত মুখের অভিব্যক্তি থাকা প্রয়োজন, ইন্দ্রানী মারা যাওয়ায় যা ছিল না তাঁদের কাছে।

ভাস্কর সুবিমল দাস


বিভিন্ন কোণ থেকে ইন্দ্রানীর মুখের ছবি “প্রাথমিক তথ্য” হিসাবে সংগ্রহ করা হয়েছিল। প্রথমে একটি মাটির মডেল তৈরি করা হয়। পরে ফাইবার ছাঁচ নির্মাণ এবং সিলিকন ঢালাইয়ের মধ্য দিয়ে তৈরি তৈরি করা হয় ইন্দ্রানীর মূর্তি।
মূর্তিটির ওজন প্রায় ৩০ কেজি এবং সোনার গহনা পরানো, ঠিক যে ভাবে ইন্দ্রাণী জীবিত থাকাকালীন তার প্রিয় ছিল। একটি আসাম সিল্ক শাড়ি পরানো হয়েছে মূর্তিটি কে। আর এভাবেই ৩৯ বছরের দাম্পত্যের স্মৃতি বহন করে চলেছেন তাপস সান্ডিল্য।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *