আজ খবর এক্সক্লুসিভ:
Bangla Pokkho “কাঁকড়ার জাত”! দীর্ঘদিন বাঙালিকে সহ্য করতে হয়েছে এই অপবাদ। বলা হয় ভারতের অন্যান্য প্রদেশে যেমন একজন উন্নতি করলে সেই সম্প্রদায়ের বাকিদের ও সেই পথে টেনে নেয়, বাঙালিরা তা করে না। বরং উন্নতির উল্টো দিকে টানে।
অতীতে বাঙালির স্বার্থ ও অধিকার নিয়ে সরব হওয়ার মত কোনও সংগঠন ছিল না। গত কয়েক বছরের সেই অভাব মিটিয়ে ছিল বাংলাপক্ষ (Bangla Pokkho)।
কিন্তু এবার বোধহয় সেই সুখ ও বাঙালির কপালে আর সইবে না। জল্পনা ও গুঞ্জন চলছে। ভাঙতে চলেছে বাংলা পক্ষ। অবধারিতভাবেই কারণ হিসেবে উঠে এসেছে সাংগঠনিক বিবাদ। Bangla Pokkho

নিজেদের সম্পর্কে বাংলা পক্ষ দাবি করে, “এটি বাঙালি অধিকার, বাঙালি জাতীয়তাবাদ (বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের সাথে বিভ্রান্ত হবেন না) এবং অহিন্দি-ভাষীদের উপর হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়া তথা তাদের ভাষায় হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। সংগঠনটি মূলত ভাষাগত ভিত্তিতে সংগঠিত হয় এবং তারা ভারতে বাঙালি সংস্কৃতিকে রক্ষা করার লক্ষ্যে পরিচালিত হয়।”

সেই সঙ্গে নিজেদের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে এই সংগঠনের বক্তব্য, ২০১৮ সালের ৭ই জানুয়ারি গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলা পক্ষের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এই সংগঠনের জেলাভিত্তিক সাংগঠনিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন এখনও বাকি। কিন্তু ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য “বেসুরো” গাইছেন বলে খবর মিলেছে।

বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য, বিশিষ্ট চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস। সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পোস্টে একের পর এক ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য করছেন তিনি। যদিও এ প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু বলতে চাননি এই চিকিৎসক। তবে যেভাবে বিভিন্ন পোস্টে নাম না করেও গলায় মালা, উত্তরীয় পরা সংগঠনের কিছু নেতার বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দেগে চলেছেন তিনি।
একই সঙ্গে নিজের অনুরাগীদের আশ্বস্ত করে লিখছেন, বাংলা ও বাঙালির অধিকারের আন্দোলন থেকে সরবেন না তিনি। তবে সেই লড়াইয়ে নির্দিষ্ট কোন ও রাজনীতির রং লাগতে দেবেন না। রাজনৈতিক দূরত্ব বজায় রাখবেন।

চিকিৎসকের এহেন পোস্ট নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। তাঁদের দাবি, প্রথম থেকেই বাংলা পক্ষর মুখ এবং হৃদয় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা গর্গ চট্টোপাধ্যায়। প্রকাশ্যে যাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, তাঁরা আসলে কিছু সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট। এক ধাপ এগিয়ে কেউ কেউ আবার বলছেন, সংগঠনের অন্তরে আসলে ক্ষমতার লড়াই চলছে। নির্দিষ্ট দু-একজন যাবতীয় কর্তৃত্ব নিজেদের হাতে রাখতে চাইছেন, তাই এই অশান্তি।

আর এখান থেকেই আমজনতার মনে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি ভাঙন আসন্ন বাংলা ও বাঙালির এই সংগঠনের? বলাই বাহুল্য গত কয়েক বছরে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে বাংলা পক্ষ। বাঙালির অধিকার নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছে, পথে নেমেছে তাঁরা। কিন্তু বাইরের সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে সংগঠনের অন্দরের সমস্যার দিকে কি চোখ ফেরাচ্ছেন না সংগঠকরা?
আশঙ্কিত বাংলা পক্ষ বহু সদস্যই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *