আজ খবর ডেস্ক:
Kolkata Tram কলকাতার বুকে কি ১৯৬৭ ফিরছে? ১পয়সা ট্রাম ভাড়া বৃদ্ধি রুখতে পথে নেমেছিল বাম ছাত্র, যুব সমাজ। আর ২০২৩ এ ট্রাম (Tram) বাঁচাতে রাস্তায় নামছে সিপিএম (CPIM)। Kolkata Tram
সেই ১৮৭৩ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি, শিয়ালদহ থেকে আর্মেনিয়ান ঘাট পর্যন্ত ৩.৯ কিলোমিটার পথে প্রথম ট্রামের চাকা গড়িয়েছিল। তখন ছিল ঘোড়ায় টানা ট্রাম। কালের আবর্তনে এসেছে বৈদ্যুতিক সংযোগ। তবে, এই গতির যুগে হেরিটেজ ট্রাম যেন নিছক অবসর যাপনের কাফে (Tram Cafe) অথবা সংগ্রহশালা (Museum)।

সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শহরের ট্রাম রুট। থাকছে মাত্র ৪টি।
পরিবহণমন্ত্রীর কথায়, “কলকাতার স্মারক হিসেবে চারটি রুটে ট্রাম চালাব। বর্তমানে ধর্মতলা-গড়িয়াহাট এবং বালিগঞ্জ-টালিগঞ্জ রুটে ট্রাম চলছে। আরও দু’টি নতুন রুট যুক্ত হবে- ধর্মতলা-খিদিরপুর এবং ধর্মতলা-শ্যামবাজার।” এর মধ্যে ধর্মতলা-খিদিরপুর রুটটি হেরিটেজ রুট। ১৯০২ সালের ২৭শে মার্চ কলকাতায় প্রথম বিদ্যুৎচালিত ট্রাম পরিষেবার সূচনা হয় এই পথে।
পরিবহণমন্ত্রীর আশ্বাস, ভবিষ্যতে কলকাতা ট্রাম চলার উপযুক্ত হলে তখন পিচ তুলে আবার বাকি লাইন তুলে আনা হবে। তবে সেটা আদৌ বাস্তবসম্মত কি না, সে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা ট্রাম ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশন।

১৯৫১ সালে ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ অ্যাক্ট পাস হয়। এই আইনবলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ট্রামওয়েজের সকল স্বত্তাধিকার ১ জুন ১৯৭২ বা তার দুই বছরের নোটিসে অধিগ্রহণ করার অধিকারী হয়। ১৯৭৮ সালে ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ কোম্পানি লিমিটেড (CTC), অধিগ্রহণ করে তৎকালীন বাম সরকার।
চলতি মাসের ২৪ তারিখ কলকাতা জেলা সিপিএম পথে নামছে। শহরের সবকটি ট্রাম ডিপোতে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। নেতৃত্বের দাবি, বাম আমলে প্রতি বছর ট্রামের আধুনিকীকরণের জন্য বাজেট বরাদ্দ হতো। ২০০৭-২০০৮ সালে কলকাতার ট্রাম রাস্তা সারানো জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। ট্রাম রাস্তা কংক্রিটের হয়। চালু করা হয় আধুনিক এসি ট্রাম।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১১ সালে কলকাতায় ৩৭ টা রুটে ট্রাম চালানো হতো। দৈনন্দিন যাত্রী (Passenger) সংখ্যা ছিল ৭০ থেকে ৭৫ হাজার। প্রায় ৭০০০ কর্মী ছিলেন। ২০২৩ সালে মাত্র ২ টি রুটে ট্রাম চালানো হচ্ছে। যাত্রী সংখ্যা কমে হয়েছে ৩-৫ হাজার।


সেইসঙ্গে সিপিএম নেতৃত্ব টালিগঞ্জের জমিতে নির্মীয়মান আবাসন ও শপিংমলের বিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছে। সেই সঙ্গে তাদের দাবি, কার্জন পার্ক, রাজাবাজার, বেলগাছিয়া, খিদিরপুর, শ্যামবাজারের মত ট্রাম ডিপোতে বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে বর্তমান রাজ্য সরকারের।
তাই ১৫০বছরের হেরিটেজকে বাঁচাতে পথে নামছে সিপিএম।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *