আজ খবর ডেস্ক:
আইএএস নন্দিনী চক্রবর্তীর (IAS Nandini Chakraborty) বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজ্যের মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে রাজভবনে ডেকে তদন্তের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল।
অভিযোগ, রাজভবনের সম্পর্কে বাইরে ভুল তথ্য পরিবেশন করেছেন নন্দিনী। রাজভবনে রাজ্যপালের প্রধান সচিব হিসেবে কর্মরত থাকা নন্দিনী চক্রবর্তীকে অপসারণের পরেই রাজ্যপালের নির্দেশ ঘোষণায় রীতিমত শঙ্কিত রাজ্যের আইএএস মহল।
ইতিমধ্যেই রাজভবন থেকে সরানো হয়েছে নন্দিনীকে। তাঁকে পর্যটন দপ্তরের (Tourism Department) প্রধান সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বুধবারই আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে সরানোর কথা জানিয়েছে নবান্ন। আর এবার নন্দিনীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল।
সূত্রের খবর, এই আমলার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি রাজভবন থেকেই ‘সমান্তরাল প্রশাসন’ চালাচ্ছিলেন। খোদ রাজ্যপাল এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রের খবর। প্রতিটি ক্ষেত্রে রাজভবন থেকে নবান্নকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছেন নন্দিনী চক্রবর্তী। এমনই অভিযোগ করে রাজ্যপাল চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee)। অল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুল অনুযায়ী এই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল।
অভিযোগপত্রে এও বলা হয়েছে, রাজভবনে বসে নিজের মত করে প্রশাসন চালাচ্ছিলেন প্রধান সচিব। রাজ্যপালের বিভিন্ন বিষয়ে লেখার জন্য এক ব্যক্তি এসেছিলেন রাজভবনে। অভিযোগ, তাঁকে রাকেশ আস্থানা বলে প্রচার করেছিলেন নন্দিনী চক্রবর্তী। যে কারণে রাজ্যপাল ক্ষুব্ধ হন এবং মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। IAS Nandini Chakraborty
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর মধ্যে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়, সেখানে নন্দিনী চক্রবর্তীকে নিয়েও আলোচনা হয় , এমনটাই সূত্রের খবর।
১৯৯৪ ব্যাচের আইএএস অফিসার নন্দিনী চক্রবর্তী। অতীতে রাজ্যের একাধিক দপ্তরে সচিব পদ সামলেছেন। লা গণেশন যখন বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন, তখনই রাজভবনের সচিব পদে দায়িত্ব পান নন্দিনী।