আজ খবর ডেস্ক:
Maternal Mortality বেশি বয়সে বিয়ে, বেশি বয়সে সন্তান ধারণ, কর্মজীবনের স্ট্রেস। সব মিলিয়ে বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে প্রস্তুতি মৃত্যুর হার। সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে বা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বিশ্বজুড়ে প্রতি দু’মিনিটে একজন মহিলার মৃত্যু (Maternity death) হয়। সম্প্রতি এই তথ্য সামনে এনেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (WHO) একই রিপোর্ট দিয়েছে। যেখানে বলা হচ্ছে, গত ২০ বছরে প্রসূতি মৃত্যুর হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। Maternal Mortality
রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিসংখ্যান বলছে, অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant) অবস্থায় অথবা প্রসবকালীন জটিলতার কারণে মৃত্যুর তালিকায় হার রয়েছে ভারতও।

ভারতের পরিস্থিতি ও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ভারত সরকারের অন্যতম লক্ষ্য এখন প্রসূতি ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো। ‘প্রসূতি মৃত্যুর হার ১৯৯০-এ ছিল প্রতি লাখে ৫৪০। এখন সেটা ১৬৭। শিশুমৃত্যু প্রতি লাখে ১৯৯০-এ ছিল ১২৬। এখন তা কমে ৪৯। কিন্তু গোটা বিশ্বের নিরিখে এই হার আরও অনেক কম হওয়ার কথা। 

দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গেও প্রসূতি মৃত্যুর হার চিন্তার কারণ। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (National Health Mission) বলছে, লেবার রুমের অপরিচ্ছন্নতা, বার্থ অ্যাসপেক্সিয়া (জন্মের সময়ে শিশুর অক্সিজেনের অভাব) রুখতে প্রশিক্ষিত কর্মী এবং সরঞ্জামের অভাব, প্রতিষেধক টিকা সরবরাহে ঘাটতি এবং বাড়ি থেকে হাসপাতাল পৌঁছনোর দুর্গম পথের কারণেই অধিকাংশ মৃত্যু হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রেফারের ঠেলা সামলাতে গিয়ে আর সঠিক সময় হাসপাতালেই পৌঁছনো হয় না গর্ভবতী মায়েদের। ফলে বিপদ ঘনিয়ে আসে।

ম্যাটারনাল মর্টালিটি বা প্রসবকালীন মৃত্যুর জন্য আরও নানা ফ্যাক্টর দায়ী। সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থান, শিক্ষার হার ও স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহণের সুযোগ— সবই রয়েছে এর মধ্যে। বাল্যবিবাহের ফলে অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ, গর্ভবতীর স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন, রক্তাল্পতা, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার, গর্ভকালীন স্বাস্থ্যসেবা প্রসবকালীন মৃত্যুকে প্রভাবিত করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রত্যন্ত এলাকায় আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গোপনে বাল্যবিবাহ হচ্ছে, কমবয়সিরা রক্তাল্পতায় ভুগছেন, ফলে প্রসবকালীন সময়ে জটিলতা বাড়ছে। প্রসূতি মৃত্যুর হারও বাড়ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *